শরীফ প্রধান, হালিম সৈকত:
"১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় ভেঙ্গে পরে সেতুটি। তারপর কেটেগেলে ৩৬ বছর। এই দীর্ঘসময়ে আর পূর্ননির্মান হয়নি সেতুটি। যার ফলে ৩৬ বছর ধরেই সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ৮ গ্রামের প্রায় ২০/৩০ হাজার মানুষকে। ভেঙ্গে যাওয়া সেতুর পিলারের উপর বাঁস বেঁধে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে তারা। আর এই সেতুটির অবস্থান কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নে।
জানা যায়, উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নায়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর নির্মিত অনেক পুরনো ব্রিজটি '১৯৯৮৮'সালের বন্যায় ভেঙে যায়। সে সময় থেকে ভেঙ্গে যাওয়া সেতুর পিলারের সাথে বাঁশ বেঁধে সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছে ওই এলাকার নয়াকান্দি, সোনাকান্দা, কাচারি, বালুয়াকান্দি, তুলাকান্দি, নারায়নপুর, আসমানিয়া, নারান্দিয়া, বন্দরামপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
আর এই পথে প্রতিদিন যাতায়াত করছে ২-৩ হাজার পথচারী। দীর্ঘ সময়ে খালের উপর নতুন সেতু নির্মান না হওয়ায় জনদূর্ভোগ বেঁড়েছে চরমে। বেঁড়েছে জনসংখ্যা। বৃষ্টি বা বর্ষায় চলাচল করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের।
বৃষ্টি আসলে বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। ওই সড়কে চলাচলরত পথচারী ও অতিথিরা পরছে বিরম্বনায়। সারা দেশে এতো উন্নয়ন হলেও পুরনো এই সেতুটির নির্মান না হওয়ায় খোভ প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগীরা।
নয়াকান্দি গ্রামের আবদুল মতিন (৬০) বলেন, ৮৮'র বন্যার সময় ব্রিজটি ভেঙে যায়। এই ব্রিজটি নিয়ে আমরা অনেক কষ্ট ভোগ করতাছি। তিনি বলেন, ভোট আইলে বলে ব্রিজ কইরা দিবো। কিন্তু পাশ করার পর আর কোন খবর থাকে না।
একই গ্রামের মো.আলী মিয়া (৬২) বলেন, এটার সম্বন্ধে কী বলতাম। আমরা তো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে গেছি। কোন কাজ হচ্ছে না। এই সরকারের এতো উন্নয়ন হওয়া সত্বেও আমাদের এই ব্রিজটি নির্মান হচ্ছে না। বিষয়টি দু:খজনক।
সোনাকান্দা গ্রামের আবুল কাসেম মোল্লা (৭০) বলেন, খালি মাপজোপ নিতাছে আর কইতাছে ব্রিজ হইবো ব্রিজ হইবো! বইলা যায়,কিন্তু ব্রিজ তো আর হয় না। এখানে একটা ব্রিজ হলে আমদের অনেক উপকার হইতো। একটা ব্রিজ করে দিলে এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে আর কোন অসুবিধা হতো না।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া খোকা বলেন, ১৯৮৮ সালের বন্যায় ব্রিজটি ভেঙ্গে পরার পরে আর সংস্কার হয়নি। প্রতিদিন ২-৩ হাজার লোক যাতায়াত করে। ব্রিজটি নিয়ে আমি মাসিক সভায় কথা বলেছি এবং প্রস্তাব পেশ করেছি।
এলজিইডি অফিস আমাকে আশ্বস্ত করেছে, বিষয়টি তারা দেখবেন। এবং খুব শীঘ্রই কিছু করার চেষ্টা করবেন।
পিকে/এসপি
"১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় ভেঙ্গে পরে সেতুটি। তারপর কেটেগেলে ৩৬ বছর। এই দীর্ঘসময়ে আর পূর্ননির্মান হয়নি সেতুটি। যার ফলে ৩৬ বছর ধরেই সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ৮ গ্রামের প্রায় ২০/৩০ হাজার মানুষকে। ভেঙ্গে যাওয়া সেতুর পিলারের উপর বাঁস বেঁধে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে তারা। আর এই সেতুটির অবস্থান কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নে।
জানা যায়, উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নায়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর নির্মিত অনেক পুরনো ব্রিজটি '১৯৯৮৮'সালের বন্যায় ভেঙে যায়। সে সময় থেকে ভেঙ্গে যাওয়া সেতুর পিলারের সাথে বাঁশ বেঁধে সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছে ওই এলাকার নয়াকান্দি, সোনাকান্দা, কাচারি, বালুয়াকান্দি, তুলাকান্দি, নারায়নপুর, আসমানিয়া, নারান্দিয়া, বন্দরামপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
আর এই পথে প্রতিদিন যাতায়াত করছে ২-৩ হাজার পথচারী। দীর্ঘ সময়ে খালের উপর নতুন সেতু নির্মান না হওয়ায় জনদূর্ভোগ বেঁড়েছে চরমে। বেঁড়েছে জনসংখ্যা। বৃষ্টি বা বর্ষায় চলাচল করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের।
বৃষ্টি আসলে বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। ওই সড়কে চলাচলরত পথচারী ও অতিথিরা পরছে বিরম্বনায়। সারা দেশে এতো উন্নয়ন হলেও পুরনো এই সেতুটির নির্মান না হওয়ায় খোভ প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগীরা।
নয়াকান্দি গ্রামের আবদুল মতিন (৬০) বলেন, ৮৮'র বন্যার সময় ব্রিজটি ভেঙে যায়। এই ব্রিজটি নিয়ে আমরা অনেক কষ্ট ভোগ করতাছি। তিনি বলেন, ভোট আইলে বলে ব্রিজ কইরা দিবো। কিন্তু পাশ করার পর আর কোন খবর থাকে না।
একই গ্রামের মো.আলী মিয়া (৬২) বলেন, এটার সম্বন্ধে কী বলতাম। আমরা তো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে গেছি। কোন কাজ হচ্ছে না। এই সরকারের এতো উন্নয়ন হওয়া সত্বেও আমাদের এই ব্রিজটি নির্মান হচ্ছে না। বিষয়টি দু:খজনক।
সোনাকান্দা গ্রামের আবুল কাসেম মোল্লা (৭০) বলেন, খালি মাপজোপ নিতাছে আর কইতাছে ব্রিজ হইবো ব্রিজ হইবো! বইলা যায়,কিন্তু ব্রিজ তো আর হয় না। এখানে একটা ব্রিজ হলে আমদের অনেক উপকার হইতো। একটা ব্রিজ করে দিলে এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে আর কোন অসুবিধা হতো না।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া খোকা বলেন, ১৯৮৮ সালের বন্যায় ব্রিজটি ভেঙ্গে পরার পরে আর সংস্কার হয়নি। প্রতিদিন ২-৩ হাজার লোক যাতায়াত করে। ব্রিজটি নিয়ে আমি মাসিক সভায় কথা বলেছি এবং প্রস্তাব পেশ করেছি।
এলজিইডি অফিস আমাকে আশ্বস্ত করেছে, বিষয়টি তারা দেখবেন। এবং খুব শীঘ্রই কিছু করার চেষ্টা করবেন।
পিকে/এসপি