এখন আর আগের মতো বন-জঙ্গলে আম, কলা কাঁঠালসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক ফলমূল নেই। বনের পশু-পাখিরাও অনাহারে থাকতে হয় খাদ্যের অভাবে। তাইতো, বন ছেড়ে লোকালয়ে বানর দল। অস্তিত্ব রক্ষাই ওদের বড় চ্যালেঞ্জ। প্রাচীন আবাস ছেড়ে আশেপাশের গ্রাম জনপদে ছঁড়িয়ে পড়ছে ওরা।
নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার উত্তরে শেষ জনপদের নাম রামপুর। প্রাচীন কাল থেকে সেখানে 'রিসাস প্রজাতির' বানর বসবাস করে আসছে। মানুষের পাশাপাশি রামপুরের গ্রামীন ঝাড় জঙ্গল মাতিয়ে ভালোই ছিলো ওরা। হিন্দু প্রধান এলাকা রামপুর। ফলে দেবতা হনুমানের নিকটাত্মীয়ের মর্যাদায় আদরে কদরে ভালোই দিন কাটাচ্ছিলো "রিসাসরা।
বর্তমানে গ্রামীন জঙ্গলের আকৃতি কমেছে। ফলে খাবারে টান পড়েছে তাদের। এ জনপদে বানর এখন রীতিমতো বড় সমস্যা। তাদের জীবধারন রীতি এখন রীতিমতো উৎপাত এই জনপদে। ফলে মানুষের দ্বিজে ভক্তি শ্রদ্ধায় ভাটার টান এখন।
এলাকাবাসী জানান, সুযোগ পেলেই ছোঁ মেরে খাবার কেড়ে নিচ্ছে। দলবেঁধে জনপদের বাড়ীঘরে হামলা করছে। ভাতের হাঁড়ি উল্টে দিচ্ছে। গিরস্থের মুরগী তাড়িয়ে ডিম নিয়ে যাচ্ছে। বেড়ে রাখা ভাত-তরকারীর প্লেট নিয়ে যাচ্ছে।
এলাকায় পুলিশের তদন্ত কেন্দ্র আছে একটি। তাতে থোড়াই কেয়ার তাদের। অপরাধীরা ভয় করে পুলিশকে। কিন্তু ওরা দেখায় বৃদ্ধাঙ্গুল। গাছের ফল, ক্ষেতের ফসল, পানের বরজ তছনছ করছে। যতটুকু খাচ্ছে তারচেয়ে বেশী নষ্ট করছে। কৃষকের সর্বনাশ ঘটাচ্ছে ওরা।
কৃষি প্রধান এলাকাটির দারিদ্রতার প্রধান কারন এ বানরকূল। প্রচুর পতিত জমি এখানে। বানরকূলের যন্ত্রনায় সেসবে চাষাবাদ নাকি কঠিন।
ওই গ্রামের লিয়াকত আলী রতন জানান, আগে হিন্দু বাড়ীতে ফলজ গাছপালার প্রাচুর্য ছিলো।বানরদের খাবারে কমতি ছিলো না।এখন সে অবস্থা নেই।
রামপুর গ্রামের বাসিন্দা খিদিরপুর হাই স্কুলের সাবেক শিক্ষক শুধাংসুু বনিক (৮০) কে দেখা গেলো লাঠি হাতে এক ধানী জমি পাহাড়ায়। রোজ সকাল-সন্ধ্যা গাছের ছায়ায় লাঠি হাতে মাচায় বসে এভাবে বানরের কবল থেকে ফসল রক্ষার চেষ্টা করছেন।
গ্রামবাসীর এতো বিরুপ মনোভাব ও আচরনের কারনে বানররা এখন দলে দলে চারপাশের বিভিন্ন জনপদে ছড়িয়ে পড়ছে। রামপুরবাসীর বারোটা বাজিয়ে এখন রামপুরের পার্শ্ববর্তী চর সাগরদী গ্রামে বানর দলের তান্ডব এখন চলমান রয়েছে।
সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তারেক মাহমুদ অপু জানায়, তাদের এলাকায় বানরের উৎপাতে এক মরিচ ছাড়া আর কোন শাক-সবজী বা ফসলের চাষ কঠিন হয়ে পরেছে। চর আহাম্মদপুর গ্রামের যুবক সানী বলেন, কয়েক বছর ধরে বানর দল ঘাঁটি গেড়েছে তাদের গ্রামে।
পিকে/এসপি
নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার উত্তরে শেষ জনপদের নাম রামপুর। প্রাচীন কাল থেকে সেখানে 'রিসাস প্রজাতির' বানর বসবাস করে আসছে। মানুষের পাশাপাশি রামপুরের গ্রামীন ঝাড় জঙ্গল মাতিয়ে ভালোই ছিলো ওরা। হিন্দু প্রধান এলাকা রামপুর। ফলে দেবতা হনুমানের নিকটাত্মীয়ের মর্যাদায় আদরে কদরে ভালোই দিন কাটাচ্ছিলো "রিসাসরা।
বর্তমানে গ্রামীন জঙ্গলের আকৃতি কমেছে। ফলে খাবারে টান পড়েছে তাদের। এ জনপদে বানর এখন রীতিমতো বড় সমস্যা। তাদের জীবধারন রীতি এখন রীতিমতো উৎপাত এই জনপদে। ফলে মানুষের দ্বিজে ভক্তি শ্রদ্ধায় ভাটার টান এখন।
এলাকাবাসী জানান, সুযোগ পেলেই ছোঁ মেরে খাবার কেড়ে নিচ্ছে। দলবেঁধে জনপদের বাড়ীঘরে হামলা করছে। ভাতের হাঁড়ি উল্টে দিচ্ছে। গিরস্থের মুরগী তাড়িয়ে ডিম নিয়ে যাচ্ছে। বেড়ে রাখা ভাত-তরকারীর প্লেট নিয়ে যাচ্ছে।
এলাকায় পুলিশের তদন্ত কেন্দ্র আছে একটি। তাতে থোড়াই কেয়ার তাদের। অপরাধীরা ভয় করে পুলিশকে। কিন্তু ওরা দেখায় বৃদ্ধাঙ্গুল। গাছের ফল, ক্ষেতের ফসল, পানের বরজ তছনছ করছে। যতটুকু খাচ্ছে তারচেয়ে বেশী নষ্ট করছে। কৃষকের সর্বনাশ ঘটাচ্ছে ওরা।
কৃষি প্রধান এলাকাটির দারিদ্রতার প্রধান কারন এ বানরকূল। প্রচুর পতিত জমি এখানে। বানরকূলের যন্ত্রনায় সেসবে চাষাবাদ নাকি কঠিন।
ওই গ্রামের লিয়াকত আলী রতন জানান, আগে হিন্দু বাড়ীতে ফলজ গাছপালার প্রাচুর্য ছিলো।বানরদের খাবারে কমতি ছিলো না।এখন সে অবস্থা নেই।
রামপুর গ্রামের বাসিন্দা খিদিরপুর হাই স্কুলের সাবেক শিক্ষক শুধাংসুু বনিক (৮০) কে দেখা গেলো লাঠি হাতে এক ধানী জমি পাহাড়ায়। রোজ সকাল-সন্ধ্যা গাছের ছায়ায় লাঠি হাতে মাচায় বসে এভাবে বানরের কবল থেকে ফসল রক্ষার চেষ্টা করছেন।
গ্রামবাসীর এতো বিরুপ মনোভাব ও আচরনের কারনে বানররা এখন দলে দলে চারপাশের বিভিন্ন জনপদে ছড়িয়ে পড়ছে। রামপুরবাসীর বারোটা বাজিয়ে এখন রামপুরের পার্শ্ববর্তী চর সাগরদী গ্রামে বানর দলের তান্ডব এখন চলমান রয়েছে।
সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তারেক মাহমুদ অপু জানায়, তাদের এলাকায় বানরের উৎপাতে এক মরিচ ছাড়া আর কোন শাক-সবজী বা ফসলের চাষ কঠিন হয়ে পরেছে। চর আহাম্মদপুর গ্রামের যুবক সানী বলেন, কয়েক বছর ধরে বানর দল ঘাঁটি গেড়েছে তাদের গ্রামে।
পিকে/এসপি