‘ক্ষুধা লাগলে খেয়ে যান’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে, ভিক্ষুক, পাগল, পথশিশু ও ভবঘুরে মানুষের তিনবেলায় খাবারের জন্য যশোরের শার্শায় ফ্রী খাবার বাড়ি নির্মাণ করেছে মটর মেকানীক মিজানুর রহমান (মিজান)।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, সকাল ১০ টার পর থেকেই শুরু রান্নার প্রস্তুতি । এরপরে রান্না শেষ হতেই আশে পাশে থাকা ভিক্ষুক, পাগল, পথশিশু ও ভবঘুরে প্রায় অর্ধশত নারী পুরুষ এসে জড়ো হয়েছে দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য । ৪-৫ জন সেচ্ছাসেবক নিয়ে শুরু হয় খাওয়া দাওয়া।
জানা যায় , করোনা ভাইরাসের সময় সর্বপ্রথম ২০২০ সালে মিজান গড়ে তোলেন এই ফ্রি খাবার বাড়ি। দীর্ঘ ৩ বছর ধরে এভাবে অসহায় মানুষের মুখে দিনে কখনো দুইবেলা কখনো তিনবেলা খাবার তুলে দিচ্ছেন তিনি। ফ্রি খাবার বাড়ির পাশাপাশি এতিম ও অসহায় পরিবারের শিশুদের বিনামূল্যে পড়াশোনার জন্য উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্যামলাগাছীতে গড়ে তুলেছেন হযরত শাহজালাল (রাহ:) মডেল মাদরাসা।
খাবার খেতে আসা শারিরীক প্রতিবন্ধী রোকেয়া খাতুন বলেন, " দীর্ঘদিন ভিক্ষা শেষে ক্লান্ত শরীরে পেটে ক্ষুধা নিয়ে বাড়ি যেতাম এখন ক্ষুধা লাগলেই ফ্রী খাবার বাড়ি এসে ভাত খেয়ে যায়। এখানে যখন ইচ্ছে খেতে পারি কোনো টাকার প্রয়োজন হয়না।
অসহায় আলমগীর বলেন, " মিজান ভাইয়ের খাবার বাড়ি নিয়মিত খাবার খায়। যখন ইচ্ছে হয় আসি খেয়ে চলে যায়। কখনো এখানে আসলে মাছ, গোস্তো, ডিম ছাড়া ভাত খাইনি সবসময় আমাদের অনেক যত্ন সহকারে খাবার দেওয়া হয়।
" মানবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে মিজানুর রহমান (মিজান) বলেন, করোনার সময় অনাহারে থাকা পথশিশু ও রাস্তার পাগলদের জন্য খাবার খাওয়াতে খাওয়াতে এদের জন্য খাবারের এই হোটেলটি করার উদ্যোগ গ্রহণ করি।
"মানবসেবা হেল্প ফাউন্ডেশন"-এর সহযোগিতায় এবং হাজার হাজার মানুষের অনুপ্রেরণায় এই খাবার বাড়িটির বাস্তবে রুপ দিয়েছে। প্রথমে দিনে ২০-২৫ জন অসহায় মানুষের উপস্থিতি থাকলেও ক্রমেই তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পিকে/এসপি
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, সকাল ১০ টার পর থেকেই শুরু রান্নার প্রস্তুতি । এরপরে রান্না শেষ হতেই আশে পাশে থাকা ভিক্ষুক, পাগল, পথশিশু ও ভবঘুরে প্রায় অর্ধশত নারী পুরুষ এসে জড়ো হয়েছে দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য । ৪-৫ জন সেচ্ছাসেবক নিয়ে শুরু হয় খাওয়া দাওয়া।
জানা যায় , করোনা ভাইরাসের সময় সর্বপ্রথম ২০২০ সালে মিজান গড়ে তোলেন এই ফ্রি খাবার বাড়ি। দীর্ঘ ৩ বছর ধরে এভাবে অসহায় মানুষের মুখে দিনে কখনো দুইবেলা কখনো তিনবেলা খাবার তুলে দিচ্ছেন তিনি। ফ্রি খাবার বাড়ির পাশাপাশি এতিম ও অসহায় পরিবারের শিশুদের বিনামূল্যে পড়াশোনার জন্য উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্যামলাগাছীতে গড়ে তুলেছেন হযরত শাহজালাল (রাহ:) মডেল মাদরাসা।
খাবার খেতে আসা শারিরীক প্রতিবন্ধী রোকেয়া খাতুন বলেন, " দীর্ঘদিন ভিক্ষা শেষে ক্লান্ত শরীরে পেটে ক্ষুধা নিয়ে বাড়ি যেতাম এখন ক্ষুধা লাগলেই ফ্রী খাবার বাড়ি এসে ভাত খেয়ে যায়। এখানে যখন ইচ্ছে খেতে পারি কোনো টাকার প্রয়োজন হয়না।
অসহায় আলমগীর বলেন, " মিজান ভাইয়ের খাবার বাড়ি নিয়মিত খাবার খায়। যখন ইচ্ছে হয় আসি খেয়ে চলে যায়। কখনো এখানে আসলে মাছ, গোস্তো, ডিম ছাড়া ভাত খাইনি সবসময় আমাদের অনেক যত্ন সহকারে খাবার দেওয়া হয়।
" মানবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে মিজানুর রহমান (মিজান) বলেন, করোনার সময় অনাহারে থাকা পথশিশু ও রাস্তার পাগলদের জন্য খাবার খাওয়াতে খাওয়াতে এদের জন্য খাবারের এই হোটেলটি করার উদ্যোগ গ্রহণ করি।
"মানবসেবা হেল্প ফাউন্ডেশন"-এর সহযোগিতায় এবং হাজার হাজার মানুষের অনুপ্রেরণায় এই খাবার বাড়িটির বাস্তবে রুপ দিয়েছে। প্রথমে দিনে ২০-২৫ জন অসহায় মানুষের উপস্থিতি থাকলেও ক্রমেই তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পিকে/এসপি