অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ও গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রাখার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন এ রায় দেন।
দণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন, কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন শুভপুর আবদুল জলিল এর ছেলে মোঃ সুমন ও টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানাধীন ছয়আনি বকশিয়া'র মোঃ সুমন মিয়ার স্ত্রী পলাতক আসামি মোসাঃ মর্জিনা বেগম।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর দিবাগত-রাত ২৩:০৫ ঘটিকার সময় পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ নাজমুল হুদাসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ও গাঁজা বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ২৩নং ওয়ার্ড গন্ধমতি দক্ষিণ বাগমারা মতিন মিয়ার ২য় তলা বাড়ীর নিচ তলায় ধৃত আসামিদ্বয়ের বসত ঘরে অবস্থান করিতেছে।
উক্ত সংবাদ এর ভিত্তিতে পুলিশ আসামিদ্বয়কে আটক করে পুলিশ সুমনের দেহ তল্লাশিকালে তার দেখানো মতে বসত ঘরের খাটের নিচে একটি প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে ১১১ বোতল কোডিন ফসফেটযুক্ত ফেনসিডিল এবং কসটেপ দ্বারা মোড়ানো এক কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার ও জব্দ করেন থানাপুলিশ।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ (ইনচার্জ, কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি) পুলিশ পরিদর্শক মোঃ নাজমুল হুদা বাদী হয়ে মোঃ সুমন ও মোসাঃ মর্জিনা বেগমকে আসামি করে ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১৩ (গ)/১৯ (ক) ধারা বিধানমতে সদর দক্ষিণ থানায় মাদক মামলা রুজু করিলে
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ রোমান হোসেন ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-৫৮)।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসিলে ২০২২ সালের ১৯ জুলাই আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় বিধানমতে চার্জ গঠন করিলে রাষ্ট্রপক্ষে ০৬জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে উল্লেখিত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায়
২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) সারণি ১৩ (গ)/১৯ (খ) ধারায় তাদের প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্তক্রমে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড, অনাদায়ে ৩ (তিন) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং একই আইনের ১৯ (ক) মতে দোষী সাব্যস্থ করে প্রত্যেককে
৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা অর্থ দণ্ড অনাদয়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মোঃ শাহাদাৎ হোসেন।
পিকে/এসপি
দণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন, কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন শুভপুর আবদুল জলিল এর ছেলে মোঃ সুমন ও টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানাধীন ছয়আনি বকশিয়া'র মোঃ সুমন মিয়ার স্ত্রী পলাতক আসামি মোসাঃ মর্জিনা বেগম।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর দিবাগত-রাত ২৩:০৫ ঘটিকার সময় পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ নাজমুল হুদাসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ও গাঁজা বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ২৩নং ওয়ার্ড গন্ধমতি দক্ষিণ বাগমারা মতিন মিয়ার ২য় তলা বাড়ীর নিচ তলায় ধৃত আসামিদ্বয়ের বসত ঘরে অবস্থান করিতেছে।
উক্ত সংবাদ এর ভিত্তিতে পুলিশ আসামিদ্বয়কে আটক করে পুলিশ সুমনের দেহ তল্লাশিকালে তার দেখানো মতে বসত ঘরের খাটের নিচে একটি প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে ১১১ বোতল কোডিন ফসফেটযুক্ত ফেনসিডিল এবং কসটেপ দ্বারা মোড়ানো এক কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার ও জব্দ করেন থানাপুলিশ।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ (ইনচার্জ, কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি) পুলিশ পরিদর্শক মোঃ নাজমুল হুদা বাদী হয়ে মোঃ সুমন ও মোসাঃ মর্জিনা বেগমকে আসামি করে ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১৩ (গ)/১৯ (ক) ধারা বিধানমতে সদর দক্ষিণ থানায় মাদক মামলা রুজু করিলে
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ রোমান হোসেন ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-৫৮)।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসিলে ২০২২ সালের ১৯ জুলাই আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় বিধানমতে চার্জ গঠন করিলে রাষ্ট্রপক্ষে ০৬জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে উল্লেখিত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায়
২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) সারণি ১৩ (গ)/১৯ (খ) ধারায় তাদের প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্তক্রমে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড, অনাদায়ে ৩ (তিন) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং একই আইনের ১৯ (ক) মতে দোষী সাব্যস্থ করে প্রত্যেককে
৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা অর্থ দণ্ড অনাদয়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মোঃ শাহাদাৎ হোসেন।
পিকে/এসপি