অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেনসিডিল ও গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পরষ্পর নিজ হেফাজতে রাখার দায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। রবিবার (২০ আগস্ট) কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন। যাহার এসটি মামলা নং-১৯৬৫/২০২২।
দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- কক্সবাজার টেকনাফ বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন দক্ষিণ সাহিত্যিকা পল্লী গ্রামের হাজী মোঃ সিদ্দিক আহাম্মদ এর ছেলে মোঃ জয়নাল আবেদীন মোল্লা প্রঃ জয়নাল মাষ্টার (৪২) ও একই জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর লেইমসাখালী করল্লা পাড়ার মোজাম্মেল হকের বাড়ীর মৃত হাজী মোজাম্মেল হকের ছেলে লবন সরবরাহকারী মোঃ মোবারক হোসেন (২৫)।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বিকেলে কুমিল্লার জেলা গোয়েন্দা শাখা মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাদী জানিতে পারে যে, কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন শাসনগাছা এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ি কক্সবাজার হতে বিপুল
পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য (ইয়াবা ট্যাবলেট) সংগ্রহ করে মাইক্রোবাস যোগে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করিয়াছে। উক্ত সংবাদ পেয়ে কুমিল্লা আলেখারচর বিশ্বরোডস্থ চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি কালীন সময়ে গাড়ির চালক
পাশকাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করিলে রোড ব্যারুকেড দিয়ে গাড়ীটি থামিয়ে সন্দেহ হলে আসামিদের আটক করে দেহ ও গাড়ি তল্লাশি করে ১৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার ও জব্দ করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই (নিঃ) মোহাঃ ইকতিয়ার উদ্দিন বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ জয়নাল আবেদীন মোল্লা, মোঃ মোবারক হোসেন ও মোঃ কামাল হোসেনসহ পলাতক মোঃ আহাম্মদ কবির প্রঃ দিদার (৪০) ও মোঃ শাকিল (৩০) এর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬ (১) এর ১০ (গ)/৩৮/৪১ ধারার বিধানমতে মামলা রুজু করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই পরিমল চন্দ্র দাস পিপিএম ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামি মোঃ জয়নাল আবেদীন মোল্লা ও মোঃ মোবারক হোসেন এবং ফেনী
দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর খুশিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক এর ছেলে মোঃ কামাল হোসেন (৩৮) এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-৩১)।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসিলে ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬ (১) এর ১০ (গ)/৩৮/৪১ ধারার বিধানমতে চার্জ গঠন করিলে রাষ্ট্র পক্ষে মানীত ১৩জন সাক্ষীর মধ্যে ০৭জন এবং আসামি পক্ষে
১জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মোঃ জয়নাল আবেদীন মোল্লা ও মোঃ মোবারক হোসেনকে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬ (১) এর ১০ (গ) ধারার
অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্তক্রমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড এবং অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায় ঘোষণাকালে আসামিদ্বয় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি এডভোকেট মোঃ জাকির হোসেন এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট কাজী জসিম উদ্দিন।
পিকে/এসপি
দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- কক্সবাজার টেকনাফ বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন দক্ষিণ সাহিত্যিকা পল্লী গ্রামের হাজী মোঃ সিদ্দিক আহাম্মদ এর ছেলে মোঃ জয়নাল আবেদীন মোল্লা প্রঃ জয়নাল মাষ্টার (৪২) ও একই জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর লেইমসাখালী করল্লা পাড়ার মোজাম্মেল হকের বাড়ীর মৃত হাজী মোজাম্মেল হকের ছেলে লবন সরবরাহকারী মোঃ মোবারক হোসেন (২৫)।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বিকেলে কুমিল্লার জেলা গোয়েন্দা শাখা মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাদী জানিতে পারে যে, কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন শাসনগাছা এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ি কক্সবাজার হতে বিপুল
পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য (ইয়াবা ট্যাবলেট) সংগ্রহ করে মাইক্রোবাস যোগে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করিয়াছে। উক্ত সংবাদ পেয়ে কুমিল্লা আলেখারচর বিশ্বরোডস্থ চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি কালীন সময়ে গাড়ির চালক
পাশকাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করিলে রোড ব্যারুকেড দিয়ে গাড়ীটি থামিয়ে সন্দেহ হলে আসামিদের আটক করে দেহ ও গাড়ি তল্লাশি করে ১৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার ও জব্দ করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই (নিঃ) মোহাঃ ইকতিয়ার উদ্দিন বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ জয়নাল আবেদীন মোল্লা, মোঃ মোবারক হোসেন ও মোঃ কামাল হোসেনসহ পলাতক মোঃ আহাম্মদ কবির প্রঃ দিদার (৪০) ও মোঃ শাকিল (৩০) এর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬ (১) এর ১০ (গ)/৩৮/৪১ ধারার বিধানমতে মামলা রুজু করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই পরিমল চন্দ্র দাস পিপিএম ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামি মোঃ জয়নাল আবেদীন মোল্লা ও মোঃ মোবারক হোসেন এবং ফেনী
দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর খুশিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক এর ছেলে মোঃ কামাল হোসেন (৩৮) এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-৩১)।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসিলে ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬ (১) এর ১০ (গ)/৩৮/৪১ ধারার বিধানমতে চার্জ গঠন করিলে রাষ্ট্র পক্ষে মানীত ১৩জন সাক্ষীর মধ্যে ০৭জন এবং আসামি পক্ষে
১জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মোঃ জয়নাল আবেদীন মোল্লা ও মোঃ মোবারক হোসেনকে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬ (১) এর ১০ (গ) ধারার
অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্তক্রমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড এবং অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায় ঘোষণাকালে আসামিদ্বয় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি এডভোকেট মোঃ জাকির হোসেন এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট কাজী জসিম উদ্দিন।
পিকে/এসপি