টানা বৃষ্টিতে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর বাঁধের ২টি অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের ৬টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবার (৭ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে এ ভাঙন শুরু হয়।
প্লাবিত গ্রামগুলো হলো, উত্তর বরইয়া, বিজয়পুর, দক্ষিণ বরইয়া, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর ও সাহাপাড়া। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এ বছর অনেকটা দেরীতে বর্ষার আগমন হলেও চলমান মৌসুমি বায়ু সমানতালে সক্রিয় থাকায় বর্ষার ঘনঘটা এখনও জোরালো রয়েছে বলে জানায় স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, আগামী আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত শ্রাবণের বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। যদি এ অবিরাম বৃষ্টি চলতে থাকে তাহলে মুহুরী নদী আরও ফুলে-ফুঁসে উঠতে পারে। বর্ষায় কৃষকের আমন ফসল উৎপাদনে বৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
গত সপ্তাহেও বৃষ্টিহীনতায় এ অঞ্চলের কৃষকরা আমন ফসল বুনতে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। অবিরাম বর্ষায় বর্তমানে কৃষক ও মৎস্য চাষী ফসল ও মাছের ঘের প্লাবিত হবে এ দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান,
এখন পর্যন্ত বাঁধের বরইয়া ও দৌলতপুরের দুটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি কমার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মুহুর নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে শুকনো খাবার দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে ফুলগাজী বাজারসহ অন্যান্য এলাকাও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙন স্থলে আমরা এসেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। একটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পানিবন্দীদের উদ্ধারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে বলা হয়েছে।
পিকে/এসপি
প্লাবিত গ্রামগুলো হলো, উত্তর বরইয়া, বিজয়পুর, দক্ষিণ বরইয়া, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর ও সাহাপাড়া। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এ বছর অনেকটা দেরীতে বর্ষার আগমন হলেও চলমান মৌসুমি বায়ু সমানতালে সক্রিয় থাকায় বর্ষার ঘনঘটা এখনও জোরালো রয়েছে বলে জানায় স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, আগামী আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত শ্রাবণের বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। যদি এ অবিরাম বৃষ্টি চলতে থাকে তাহলে মুহুরী নদী আরও ফুলে-ফুঁসে উঠতে পারে। বর্ষায় কৃষকের আমন ফসল উৎপাদনে বৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
গত সপ্তাহেও বৃষ্টিহীনতায় এ অঞ্চলের কৃষকরা আমন ফসল বুনতে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। অবিরাম বর্ষায় বর্তমানে কৃষক ও মৎস্য চাষী ফসল ও মাছের ঘের প্লাবিত হবে এ দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান,
এখন পর্যন্ত বাঁধের বরইয়া ও দৌলতপুরের দুটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি কমার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মুহুর নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে শুকনো খাবার দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে ফুলগাজী বাজারসহ অন্যান্য এলাকাও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙন স্থলে আমরা এসেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। একটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পানিবন্দীদের উদ্ধারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে বলা হয়েছে।
পিকে/এসপি