তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা: অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেনসিডিল ও গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পরষ্পর নিজ হেফাজতে রাখার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক বেগম সেলিনা আক্তার।
যাহার এসটি মামলা নং-১৬১/২০১৯। মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৭ সালের ১৪ জুন দিবাগত রাত সোয়া ২২ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিয়ারবাজারস্থ শীতলিয়া রাস্তার মাথায়
জেলা গোয়েন্দা শাখা কুমিল্লা মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে মোঃ নবীর হোসেন প্রঃ নবী (৩২), মোঃ মফিজুর রহমান (৪০), বাহার মিয়া (৫২), মোঃ সাহেদ হোসেন (৩২) ও আবদুল কুদ্দুস (৩৯) কে ধৃত করে তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী এলজি বন্দুক, ৩টি কার্তুজ
৫ হাজার পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ হাজার বোতল ফেনসিডিল, ২০০ কেজি খাঁজা উদ্ধার ও জব্দ করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মোঃ মেহেদী হাসান খাঁন বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ নবীর হোসেন নবী
মোঃ মফিজুর রহমান, বাহার মিয়া, মোঃ সাহেদ হোসেন, আবদুল কুদ্দুসসহ পলাতক মোঃ সুমন (৩০), শিশু মিয়া (৫২), মোঃ আক্তার ও অজ্ঞাতনামা ২/৩জনের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর টেবিল ৯ (খ)/৩(ক)/৭(খ)/২৫ ধারার বিধানমতে মামলা রুজু করিলে
তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মোহাম্মদ শাহীন মিয়া ও মোঃ আঃ রহমান ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-৪৭৬)।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৯ সালের ১৫ মে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর টেবিল ৯ (খ)/৩(ক)/৭(খ)/২৫ ধারার বিধানমতে চার্জ গঠন করিলে রাষ্ট্র পক্ষে মানীত ১৩জন সাক্ষীর মধ্যে ৯জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে
উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মোঃ নবীর হোসেন প্রঃ নবী, মোঃ মফিজুর রহমান, বাহার মিয়া, মোঃ সাহেদ হোসেন ও আবদুল কুদ্দুসকে ১৯৯০ সালের ৯ (খ) ১০ বছর ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদয়ে ২ (দুই) মাস সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩ (খ) ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড ও ৭ (খ) ধারার বিধানমতে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড এবং অনাদায়ে ২ (দুই) মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রায় ঘোষণাকালে সকল আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর গ্রামের আবুল কাশেম এর ছেলে মোঃ নবীর হোসেন নবী ও মৃত আলী আকবর সওদাগর এর ছেলে মোঃ মফিজুর রহমান ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে বাহার মিয়া ও
মৃত শানু মিয়ার ছেলে মোঃ সাহেদ হোসেন এবং একই উপজেলার কোমারডোগার নুরু মিয়ার ছেলে আঃ কুদ্দুস। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ মজিবুর রহমান বাহার এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট ওবায়েদ উল্লাহ সরকার।
পিকে/এসপি
যাহার এসটি মামলা নং-১৬১/২০১৯। মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৭ সালের ১৪ জুন দিবাগত রাত সোয়া ২২ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিয়ারবাজারস্থ শীতলিয়া রাস্তার মাথায়
জেলা গোয়েন্দা শাখা কুমিল্লা মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে মোঃ নবীর হোসেন প্রঃ নবী (৩২), মোঃ মফিজুর রহমান (৪০), বাহার মিয়া (৫২), মোঃ সাহেদ হোসেন (৩২) ও আবদুল কুদ্দুস (৩৯) কে ধৃত করে তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী এলজি বন্দুক, ৩টি কার্তুজ
৫ হাজার পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ হাজার বোতল ফেনসিডিল, ২০০ কেজি খাঁজা উদ্ধার ও জব্দ করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মোঃ মেহেদী হাসান খাঁন বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ নবীর হোসেন নবী
মোঃ মফিজুর রহমান, বাহার মিয়া, মোঃ সাহেদ হোসেন, আবদুল কুদ্দুসসহ পলাতক মোঃ সুমন (৩০), শিশু মিয়া (৫২), মোঃ আক্তার ও অজ্ঞাতনামা ২/৩জনের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর টেবিল ৯ (খ)/৩(ক)/৭(খ)/২৫ ধারার বিধানমতে মামলা রুজু করিলে
তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মোহাম্মদ শাহীন মিয়া ও মোঃ আঃ রহমান ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-৪৭৬)।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৯ সালের ১৫ মে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর টেবিল ৯ (খ)/৩(ক)/৭(খ)/২৫ ধারার বিধানমতে চার্জ গঠন করিলে রাষ্ট্র পক্ষে মানীত ১৩জন সাক্ষীর মধ্যে ৯জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে
উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মোঃ নবীর হোসেন প্রঃ নবী, মোঃ মফিজুর রহমান, বাহার মিয়া, মোঃ সাহেদ হোসেন ও আবদুল কুদ্দুসকে ১৯৯০ সালের ৯ (খ) ১০ বছর ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদয়ে ২ (দুই) মাস সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩ (খ) ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড ও ৭ (খ) ধারার বিধানমতে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড এবং অনাদায়ে ২ (দুই) মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রায় ঘোষণাকালে সকল আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর গ্রামের আবুল কাশেম এর ছেলে মোঃ নবীর হোসেন নবী ও মৃত আলী আকবর সওদাগর এর ছেলে মোঃ মফিজুর রহমান ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে বাহার মিয়া ও
মৃত শানু মিয়ার ছেলে মোঃ সাহেদ হোসেন এবং একই উপজেলার কোমারডোগার নুরু মিয়ার ছেলে আঃ কুদ্দুস। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ মজিবুর রহমান বাহার এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট ওবায়েদ উল্লাহ সরকার।
পিকে/এসপি