লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ছৈয়দ আহম্মদ নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে বাবা ও ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ছৈয়দ আহম্মদকে হত্যার দায়ে একই পরিবারের তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আব্দুল মালেক, তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও মো. খালেক। তারা রায়পুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড শিবপুর এলাকার বাসিন্দা। এজাহার সূত্রে জানায়, ছৈয়দ আহম্মদ রায়পুর পৌর শহরের শিবপুর এলাকার শামছুল হক ব্যাপারীর ছেলে। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
২০১৯ সালের ৭ আগস্ট তিনি বাড়ির পাশের নির্মাণাধীন মসজিদের টাকা উত্তোলন করতে যান। টাকা উত্তোলন নিয়ে জাহিদের সঙ্গে তার মারামারি ঘটে। এতে ছৈয়দ আহত হন। তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদিকে একইদিন সন্ধ্যায় বাড়ির অদূরে রক্তাক্ত অবস্থায় ছৈয়দকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তার মাকে খবর দেন।
উদ্ধার করে নোয়াখালী হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় পরদিন ছৈয়দের মা রানী বেগম বাদী হয়ে রায়পুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
পিকে/এসপি
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ছৈয়দ আহম্মদকে হত্যার দায়ে একই পরিবারের তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আব্দুল মালেক, তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও মো. খালেক। তারা রায়পুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড শিবপুর এলাকার বাসিন্দা। এজাহার সূত্রে জানায়, ছৈয়দ আহম্মদ রায়পুর পৌর শহরের শিবপুর এলাকার শামছুল হক ব্যাপারীর ছেলে। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
২০১৯ সালের ৭ আগস্ট তিনি বাড়ির পাশের নির্মাণাধীন মসজিদের টাকা উত্তোলন করতে যান। টাকা উত্তোলন নিয়ে জাহিদের সঙ্গে তার মারামারি ঘটে। এতে ছৈয়দ আহত হন। তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদিকে একইদিন সন্ধ্যায় বাড়ির অদূরে রক্তাক্ত অবস্থায় ছৈয়দকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তার মাকে খবর দেন।
উদ্ধার করে নোয়াখালী হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় পরদিন ছৈয়দের মা রানী বেগম বাদী হয়ে রায়পুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
পিকে/এসপি