মাহের রমজান। মুসলীম উম্মাহর পবিত্র মাস। এই মাসেই ইসলামী সংস্কৃতি ও সৌন্দর্য অন্য মাসের তুলনায় বেশি প্রকাশ পায়। মুসলীমরা প্রভুর নির্দেশ মেনে রোজা রাখে। এবং ইফতারীর সময় হলে পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী ও নানাহ আয়োজনে অংশগ্রহনের মাধ্যমে একসাথে ইফতারে সামিল হয়।
এই ইফতারের দৃশ্যপট অত্যন্ত চমৎকার ও গুরুত্ব বহন করে। এক প্লেটে অথবা ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে রাখা খাবার একসাথে কিছুক্ষন উপভোগ করে রোজাদাররা। সে সময়টায় যেন সকলে একাকার হয়ে যায়। ধনী-গরিব, ছোট-বড় বৈশম্যের ভেদাভেদ ভুলে, হিংসা-বিদ্বেষ না রেখে মহান আল্লাহর হুকুম মানতে সকলে বদ্ধপরিকর।
পবিত্র রমজান মাস আসলেই, সকল মুসলীম আমল-ইবাদতে ব্যস্ত থাকে। পরিবর্তন আসে অনেকের নৈতিকতায়। ত্যাগের শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে জীবনকে সঠিক ও সরল পথে পরিচালনার অঙ্গীকার করে থাকে অনেকেই। অনেকে আবার নিজের অতীত পাপের ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যৎতে অপরাধ থেকে দূরে থাকারও অঙ্গিকার করে।
এই মাসে প্রত্যেক মুসলমানই তার সাধ্য অনুযায়ী পরিবার, প্রতিবেশী ও আপনজনদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ায়। বিত্তবানরাতো যাকাতের অর্থ গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য ইসলামের কঠোর নির্দেশেই থাকে। এতো আন্তরিকতা, এতো বন্ধন, এতো নমনীয় ও সহনশীল আচরন অন্য মাসের তুলনায়, এই মাসে বেশিই করে থাকে।
দূর-দূরান্তে থাকা বন্ধু স্বজন, আপনজন, প্রিয়জনদেরকে ডেকে এনে, কখনো দাওয়াত করে আবার অধিকার খাটিয়ে এক ইফতারে সামিল হওয়ার জোর আহ্বান করা হয়। কোন কাছের মানুষ না আসলেতো আয়োজক রীতিমতো কষ্টই অনুভব করে। এতো মায়া, আমাদেরকে সত্যিই একজনের প্রতি আরেকজনের বাড়তী ভালোবাসা ও সন্মান বৃদ্ধি করে।
এই আদর-সন্মান, ভালোবাসা, সেক্রিফাইজ ও সহযোগিতা কেবল মাত্র রমজান ও ইফতারই আমাদেরকে উপহার হিসেবে শিক্ষা দিয়ে থাকে। আর এই শিক্ষা যেন, কেবলমাত্র রমজান মাসেই সীমাবদ্ধ না থাকে। ইফতারের শিক্ষা যেন সারা বছর আমাদের বন্ধন অটুট রাখে এবং একজনের বিপদে অন্যজন পাশে থাকে। তাহলেই আমরা ইফতারের প্রকৃত শিক্ষা ও মহিমা বাস্তব জীবনে ব্যবহার করতে পারবো।
আজ দাউদকান্দি উপজেলার এসএসসি ব্যাচ ২০০৪- এইচএসসি ২০০৬ বন্ধুদের উদ্যোগে দাউদকান্দি বাজারে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে শতাধীক বন্ধু উপস্থিত হয়। কেউ ঢাকা থেকে কেউ এই উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে নিজেদের ব্যস্ততাকে পেছনে ফেলে ইফতারে সামিল হয়।
কয়েকজন দিনভর কষ্ট করে ইফতারের আয়োজন করে।কেউ অর্থ দিয়ে কেউ বুদ্ধি ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। সকলের চেষ্টায় সুন্দর ইফতার আয়োজন সম্পন্ন হয়। যেমনি করে এই ইফতার আমাদেরকে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে। চাকুরী-ব্যবসার ব্যস্ততা থেকে বের করে এক পাত্রে সামিল করেছে।
সেই ইফতারের শিক্ষা হউক আমাদের বন্ধু জীবনের অটুট বন্ধন, আরো দৃঢ ও মজবুত করা। আমরা এই শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে বাকী জীবন যেন বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে পারি, সেটাই মহান রবের দরবারে প্রার্থনা করি। ধন্যবাদ, দিনভর যাঁরা পরিশ্রম করে এই আয়োজনকে স্বার্থক ও সফল করেছেন।
লেখক: শরীফ প্রধান,
১ এপ্রিল ২০২৩, দাউদকান্দি বাজার, কুমিল্লা।
এই ইফতারের দৃশ্যপট অত্যন্ত চমৎকার ও গুরুত্ব বহন করে। এক প্লেটে অথবা ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে রাখা খাবার একসাথে কিছুক্ষন উপভোগ করে রোজাদাররা। সে সময়টায় যেন সকলে একাকার হয়ে যায়। ধনী-গরিব, ছোট-বড় বৈশম্যের ভেদাভেদ ভুলে, হিংসা-বিদ্বেষ না রেখে মহান আল্লাহর হুকুম মানতে সকলে বদ্ধপরিকর।
পবিত্র রমজান মাস আসলেই, সকল মুসলীম আমল-ইবাদতে ব্যস্ত থাকে। পরিবর্তন আসে অনেকের নৈতিকতায়। ত্যাগের শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে জীবনকে সঠিক ও সরল পথে পরিচালনার অঙ্গীকার করে থাকে অনেকেই। অনেকে আবার নিজের অতীত পাপের ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যৎতে অপরাধ থেকে দূরে থাকারও অঙ্গিকার করে।
এই মাসে প্রত্যেক মুসলমানই তার সাধ্য অনুযায়ী পরিবার, প্রতিবেশী ও আপনজনদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ায়। বিত্তবানরাতো যাকাতের অর্থ গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য ইসলামের কঠোর নির্দেশেই থাকে। এতো আন্তরিকতা, এতো বন্ধন, এতো নমনীয় ও সহনশীল আচরন অন্য মাসের তুলনায়, এই মাসে বেশিই করে থাকে।
দূর-দূরান্তে থাকা বন্ধু স্বজন, আপনজন, প্রিয়জনদেরকে ডেকে এনে, কখনো দাওয়াত করে আবার অধিকার খাটিয়ে এক ইফতারে সামিল হওয়ার জোর আহ্বান করা হয়। কোন কাছের মানুষ না আসলেতো আয়োজক রীতিমতো কষ্টই অনুভব করে। এতো মায়া, আমাদেরকে সত্যিই একজনের প্রতি আরেকজনের বাড়তী ভালোবাসা ও সন্মান বৃদ্ধি করে।
এই আদর-সন্মান, ভালোবাসা, সেক্রিফাইজ ও সহযোগিতা কেবল মাত্র রমজান ও ইফতারই আমাদেরকে উপহার হিসেবে শিক্ষা দিয়ে থাকে। আর এই শিক্ষা যেন, কেবলমাত্র রমজান মাসেই সীমাবদ্ধ না থাকে। ইফতারের শিক্ষা যেন সারা বছর আমাদের বন্ধন অটুট রাখে এবং একজনের বিপদে অন্যজন পাশে থাকে। তাহলেই আমরা ইফতারের প্রকৃত শিক্ষা ও মহিমা বাস্তব জীবনে ব্যবহার করতে পারবো।
আজ দাউদকান্দি উপজেলার এসএসসি ব্যাচ ২০০৪- এইচএসসি ২০০৬ বন্ধুদের উদ্যোগে দাউদকান্দি বাজারে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে শতাধীক বন্ধু উপস্থিত হয়। কেউ ঢাকা থেকে কেউ এই উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে নিজেদের ব্যস্ততাকে পেছনে ফেলে ইফতারে সামিল হয়।
কয়েকজন দিনভর কষ্ট করে ইফতারের আয়োজন করে।কেউ অর্থ দিয়ে কেউ বুদ্ধি ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। সকলের চেষ্টায় সুন্দর ইফতার আয়োজন সম্পন্ন হয়। যেমনি করে এই ইফতার আমাদেরকে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে। চাকুরী-ব্যবসার ব্যস্ততা থেকে বের করে এক পাত্রে সামিল করেছে।
সেই ইফতারের শিক্ষা হউক আমাদের বন্ধু জীবনের অটুট বন্ধন, আরো দৃঢ ও মজবুত করা। আমরা এই শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে বাকী জীবন যেন বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে পারি, সেটাই মহান রবের দরবারে প্রার্থনা করি। ধন্যবাদ, দিনভর যাঁরা পরিশ্রম করে এই আয়োজনকে স্বার্থক ও সফল করেছেন।
লেখক: শরীফ প্রধান,
১ এপ্রিল ২০২৩, দাউদকান্দি বাজার, কুমিল্লা।