দেশে-বিদেশে ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা এখন আবারও সক্রিয় হয়েছে। তারা বিশেষ ধরনের সরকারের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপিও বুঝতে পেরেছে— নির্বাচনে তাদের কোনও আশা নাই, বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘জিল্লুর রহমান পরিষদ’ আয়োজিত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা (বিএনপি) জানে, আগামী নির্বাচনে তাদের কোনও সম্ভাবনা নাই। গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার আমলে যে উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে, এতে জনগণ শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করবে। সেটা তারা বুঝতে পেরেছে। তারা যে জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করেছে, মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি ও অপরাজনীতি করেছে, সে জন্য মানুষ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সেজন্য ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একজোট হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে গণ্ডগোল লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় হয়েছে কেউ কেউ। বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিশেষ ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপিসহ সবাই মিলে সক্রিয় হয়েছে দেশে একটি গণ্ডগোল লাগানোর জন্য। বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য। কিন্তু সেটি বাংলাদেশের মানুষ আর কখনও হতে দেবে না। আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একত্রিত হয়ে ষড়যন্ত্র করে কোনও লাভ হবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি সর্বশক্তি দিয়ে অংশগ্রহণ করে আসন পেয়েছিল মাত্র ২৯টি। ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে পালিয়ে গিয়েছিল বিএনপি। ডান-বাম, অতি ডান-অতি বাম, তালেবান সবাইকে একসঙ্গে করে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, মহিলা আসনসহ সিট পেয়েছিল ৭টি। ড. কামাল হোসেনের মতো মানুষকে হায়ার করেছিল। হায়ারে খেলতে গিয়ে কামাল হোসেন সাহেব ভালো খেলতে পারেননি।’
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘‘এক-এগারোর সময়ে তিনি (জিল্লুর রহমান) দলকে যেভাবে গুছিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি আপসহীন রাজনীতিবিদ। একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ সমাজের চোখে। ১৯৭৯ তিনি যখন কারাগার থেকে মুক্ত হন— তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘এখন আমার কাজ দুই আওয়ামী লীগকে এক করা।’ তার মতো মানুষ রাজনীতিতে বিরল। আমাদের নতুন প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে তার কাছ থেকে।’
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মেয়ে তানিয়া রহমান বলেন, ‘আমার বাবা একজন অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তার কোনও অহংকার ও আত্মগরিমা ছিল না। মানুষকে সহজে খুব কাছে টেনে নিতেন। তিনি একজন আদর্শবান মানুষ ছিলেন। তার আদর্শ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। তার সন্তান হিসেবে আমি গর্বিত।’
জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন— সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ প্রমুখ।
আইডি/প্রিন্স
বুধবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘জিল্লুর রহমান পরিষদ’ আয়োজিত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা (বিএনপি) জানে, আগামী নির্বাচনে তাদের কোনও সম্ভাবনা নাই। গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার আমলে যে উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে, এতে জনগণ শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করবে। সেটা তারা বুঝতে পেরেছে। তারা যে জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করেছে, মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি ও অপরাজনীতি করেছে, সে জন্য মানুষ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সেজন্য ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একজোট হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে গণ্ডগোল লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় হয়েছে কেউ কেউ। বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিশেষ ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপিসহ সবাই মিলে সক্রিয় হয়েছে দেশে একটি গণ্ডগোল লাগানোর জন্য। বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য। কিন্তু সেটি বাংলাদেশের মানুষ আর কখনও হতে দেবে না। আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একত্রিত হয়ে ষড়যন্ত্র করে কোনও লাভ হবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি সর্বশক্তি দিয়ে অংশগ্রহণ করে আসন পেয়েছিল মাত্র ২৯টি। ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে পালিয়ে গিয়েছিল বিএনপি। ডান-বাম, অতি ডান-অতি বাম, তালেবান সবাইকে একসঙ্গে করে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, মহিলা আসনসহ সিট পেয়েছিল ৭টি। ড. কামাল হোসেনের মতো মানুষকে হায়ার করেছিল। হায়ারে খেলতে গিয়ে কামাল হোসেন সাহেব ভালো খেলতে পারেননি।’
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘‘এক-এগারোর সময়ে তিনি (জিল্লুর রহমান) দলকে যেভাবে গুছিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি আপসহীন রাজনীতিবিদ। একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ সমাজের চোখে। ১৯৭৯ তিনি যখন কারাগার থেকে মুক্ত হন— তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘এখন আমার কাজ দুই আওয়ামী লীগকে এক করা।’ তার মতো মানুষ রাজনীতিতে বিরল। আমাদের নতুন প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে তার কাছ থেকে।’
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মেয়ে তানিয়া রহমান বলেন, ‘আমার বাবা একজন অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তার কোনও অহংকার ও আত্মগরিমা ছিল না। মানুষকে সহজে খুব কাছে টেনে নিতেন। তিনি একজন আদর্শবান মানুষ ছিলেন। তার আদর্শ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। তার সন্তান হিসেবে আমি গর্বিত।’
জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন— সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ প্রমুখ।
আইডি/প্রিন্স