সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার নজরখালী বাঁধটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ না নেওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা বাঁধটির সংস্কারকাজ করেছেন। গত রবিবার পর্যন্ত টানা চারদিনের পরিশ্রম ও নিজেদের অর্থায়নে বাঁধটি সংস্কার করেন তারা।
গত বুধবার উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে যাদুকাটা, বৌলাই, রক্তি, পাটলাই ও পইকরতলা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। পানির চাপে গত বৃহস্পতিবার নজরখালী বাঁধটি ভেঙে যায়। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে নদীর পানি হাওরে প্রবেশ করতে শুরু করে। এতে কৃষকদের প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল ঝুঁকিতে পড়ে।
এ অবস্থায় কৃষকরা জমি ও ফসল রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। তাঁরা নিজেদের অর্থায়নে বাঁধের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তা, বাঁশ ও মাটি দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকেই সংস্কারকাজ শুরু করেন। হাওর পারের বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের রংচী ও খিদিরপুর গ্রামের দুই শতাধিক স্থানীয় কৃষক এ কাজে অংশ নেন।
টাঙ্গুয়ার হাওর কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ কবির বলেন, পরিবেশ রক্ষার কথা বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ বছর নজরখালী বাঁধটিতে কাজ করেনি। তাই আমাদের চেষ্টায় বাঁধটি সংস্কার করতে হয়েছে।
বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ জানান, আগামী বছর থেকে নজরখালী বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। ওই স্থানে একটি স্লুইসগেট নির্মাণ প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নকশায় এ বছর বাঁধটি নেই। তাই বাঁধটি দেওয়া হয়নি।
পিকে/এসপি
গত বুধবার উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে যাদুকাটা, বৌলাই, রক্তি, পাটলাই ও পইকরতলা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। পানির চাপে গত বৃহস্পতিবার নজরখালী বাঁধটি ভেঙে যায়। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে নদীর পানি হাওরে প্রবেশ করতে শুরু করে। এতে কৃষকদের প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল ঝুঁকিতে পড়ে।
এ অবস্থায় কৃষকরা জমি ও ফসল রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। তাঁরা নিজেদের অর্থায়নে বাঁধের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তা, বাঁশ ও মাটি দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকেই সংস্কারকাজ শুরু করেন। হাওর পারের বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের রংচী ও খিদিরপুর গ্রামের দুই শতাধিক স্থানীয় কৃষক এ কাজে অংশ নেন।
টাঙ্গুয়ার হাওর কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ কবির বলেন, পরিবেশ রক্ষার কথা বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ বছর নজরখালী বাঁধটিতে কাজ করেনি। তাই আমাদের চেষ্টায় বাঁধটি সংস্কার করতে হয়েছে।
বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ জানান, আগামী বছর থেকে নজরখালী বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। ওই স্থানে একটি স্লুইসগেট নির্মাণ প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নকশায় এ বছর বাঁধটি নেই। তাই বাঁধটি দেওয়া হয়নি।
পিকে/এসপি