কুমিল্লার সদর দক্ষিণে দুই নাবালক সৎ ভাইকে হত্যার দায়ে আরেক এক সৎ ভাইয়ের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২৭ মার্চ (সোমবার) এ রায় দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রাজজ ৫নং আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন। যাহার এসটি মামলা নং-২০২৩/২০১৬।
মামলার বিবরণে জানা যায়- ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দিনের সোয়া ১০টা হতে পৌনে ৩টা পর্যন্ত যেকোন সময় আসামি মোঃ আল সফিউল ইসলাম @ ছোটন বাদীনির বসত ঘরের পূর্ব ভিটির উত্তর দিকে কক্ষে সৎ দুই ভাই ভিকটিম মেহেদী হাসান জয় (৮) এবং ভিকটিম মেজবাউল হক মনি (৬) কে গলা চিপিয়া ও বালিশ চাপা দিয়া শ্বাসরোধ করিয়া হত্যা করে দরজা-জালানা বন্ধ করিয়া পালাইয়া যায়।
এ ব্যাপারে ভিকটিমদ্বয়ের মা এবং আসামির সৎ মা রেখা বেগম বাদী হয়ে সৎ ছেলে মোঃ আল সফিউল ইসলাম @ ছোটন (২৩) কে আসামি করে ২৭ ফেব্রুআরি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার বিধানমতে এজাহার দায়ের করেন (যাহার সদর দক্ষিণ থানার মামলা নং-৫৪)।
তৎপর ২০১৬ সালের ১ মার্চ থানা পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করিলে আসামি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোঃ আজিজুল হক ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার বিধানমতে ২০১৬ সালের ৩০মে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করিলে বিজ্ঞ আদালত দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।
পরবর্তীতে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মনোনীত ২০জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে আসামির স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল শফিউল ইসলাম প্রকাশ ছোটন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দক্ষিণ রসুলপুর গ্রামের আবুল কালাম প্রকাশ আবুল এর ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলার পরিচালনা করেন এপিপি এডভোকেট নজরুল ইসলাম এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মোঃ কাইমুল হক রিংকু।
পিকে/এসপি
মামলার বিবরণে জানা যায়- ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দিনের সোয়া ১০টা হতে পৌনে ৩টা পর্যন্ত যেকোন সময় আসামি মোঃ আল সফিউল ইসলাম @ ছোটন বাদীনির বসত ঘরের পূর্ব ভিটির উত্তর দিকে কক্ষে সৎ দুই ভাই ভিকটিম মেহেদী হাসান জয় (৮) এবং ভিকটিম মেজবাউল হক মনি (৬) কে গলা চিপিয়া ও বালিশ চাপা দিয়া শ্বাসরোধ করিয়া হত্যা করে দরজা-জালানা বন্ধ করিয়া পালাইয়া যায়।
এ ব্যাপারে ভিকটিমদ্বয়ের মা এবং আসামির সৎ মা রেখা বেগম বাদী হয়ে সৎ ছেলে মোঃ আল সফিউল ইসলাম @ ছোটন (২৩) কে আসামি করে ২৭ ফেব্রুআরি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার বিধানমতে এজাহার দায়ের করেন (যাহার সদর দক্ষিণ থানার মামলা নং-৫৪)।
তৎপর ২০১৬ সালের ১ মার্চ থানা পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করিলে আসামি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোঃ আজিজুল হক ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার বিধানমতে ২০১৬ সালের ৩০মে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করিলে বিজ্ঞ আদালত দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।
পরবর্তীতে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মনোনীত ২০জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে আসামির স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল শফিউল ইসলাম প্রকাশ ছোটন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দক্ষিণ রসুলপুর গ্রামের আবুল কালাম প্রকাশ আবুল এর ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলার পরিচালনা করেন এপিপি এডভোকেট নজরুল ইসলাম এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মোঃ কাইমুল হক রিংকু।
পিকে/এসপি