লক্ষিপুরে ছিনতাইকৃত পিক-আপ (গাড়ি) চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি-পুলিশ)। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে গাড়ির ইঞ্জিন। বুধবার (২২ মার্চ) বিকেলে পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ প্রেস ব্রিফিং করে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারী কুমিল্লার লাকসাম থেকে লক্ষ্মীপুরের আল মাহমুদ ইউসুফের পিকআপ ভ্যান (চট্ট-মেট্টো-ন-১১-৬৩৬৮) ছিনতাই হয়। নিখোঁজ হয় গাড়ির চালক সুবল হোসেন। পরেরদিন কোটবাড়ি এলাকায় অচেতন অবস্থায় চালককে পাওয়া গেলেও খোঁজ নেই পিকআপটির। ঘটনাটি লক্ষ্মীপুর পুলিশকে মৌখিকভাবে জানান গাড়ির মালিক।
তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপার পিকআপ ছিনতাইয়ের রহস্য উদঘাটনে দায়িত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। মাত্র অল্প কয়েকদিনের মধ্যে পুলিশ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লার কোতয়ালি থানার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. হানিফ (৩৬), মো. হাবিবের ছেলে মো. ফারুক, চান্দিনা থানার মৃত. লাল মিয়ার ছেলে মো. সাগর (৩০) ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট গ্রামের মৃত. ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে মো. বেলাল হোসেন (৫০)।
প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপস) মংনেথোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রামগতি সার্কেল) সাইফুল আলম চৌধুরী, ডিআইওয়ান আজিজুর রহমান মিয়া,জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটোসহ আরো অনেকে।
প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, ভাড়ায় চালিত পিকআপটি আটককৃতরা কৌশলে কুমিল্লার লাকসামে নিয়ে যায়। সেখানে চালক সুবলকে অজ্ঞান করে গাড়িটি ছিনতাই করে। আর ৭০ হাজার টাকা মূল্যে কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার খোরশেদ আলমের গ্যারেজে বিক্রি করে দেয় পিকআপটি।
পুলিশ গাড়ির মালিক ও ভাড়া নেওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তির মোবাইলে কথোপকথনের সূত্র ধরে প্রথমে হানিফকে আটক করে। পরবর্তীতে তার তথ্য অনুযায়ী অন্য আসামীদের আটক ও চালক সুবলের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে। তবে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুচরা বিক্রি করায় গ্যারেজ থেকে শুধুমাত্র ইঞ্জিন ছাড়া অন্য কিছুই উদ্ধার করতে পরেনি গোয়েন্দা পুলিশ।
তবে পলাতক থাকায় গ্যারেজ মালিক খোরশেদ আলমকে আটক করা যায়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে আসামীরা।পুলিশ সুপার আরও বলেন তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলাও করা হয়েছে।তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
পিকে/এসপি
জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারী কুমিল্লার লাকসাম থেকে লক্ষ্মীপুরের আল মাহমুদ ইউসুফের পিকআপ ভ্যান (চট্ট-মেট্টো-ন-১১-৬৩৬৮) ছিনতাই হয়। নিখোঁজ হয় গাড়ির চালক সুবল হোসেন। পরেরদিন কোটবাড়ি এলাকায় অচেতন অবস্থায় চালককে পাওয়া গেলেও খোঁজ নেই পিকআপটির। ঘটনাটি লক্ষ্মীপুর পুলিশকে মৌখিকভাবে জানান গাড়ির মালিক।
তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপার পিকআপ ছিনতাইয়ের রহস্য উদঘাটনে দায়িত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। মাত্র অল্প কয়েকদিনের মধ্যে পুলিশ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লার কোতয়ালি থানার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. হানিফ (৩৬), মো. হাবিবের ছেলে মো. ফারুক, চান্দিনা থানার মৃত. লাল মিয়ার ছেলে মো. সাগর (৩০) ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট গ্রামের মৃত. ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে মো. বেলাল হোসেন (৫০)।
প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপস) মংনেথোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রামগতি সার্কেল) সাইফুল আলম চৌধুরী, ডিআইওয়ান আজিজুর রহমান মিয়া,জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটোসহ আরো অনেকে।
প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, ভাড়ায় চালিত পিকআপটি আটককৃতরা কৌশলে কুমিল্লার লাকসামে নিয়ে যায়। সেখানে চালক সুবলকে অজ্ঞান করে গাড়িটি ছিনতাই করে। আর ৭০ হাজার টাকা মূল্যে কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার খোরশেদ আলমের গ্যারেজে বিক্রি করে দেয় পিকআপটি।
পুলিশ গাড়ির মালিক ও ভাড়া নেওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তির মোবাইলে কথোপকথনের সূত্র ধরে প্রথমে হানিফকে আটক করে। পরবর্তীতে তার তথ্য অনুযায়ী অন্য আসামীদের আটক ও চালক সুবলের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে। তবে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুচরা বিক্রি করায় গ্যারেজ থেকে শুধুমাত্র ইঞ্জিন ছাড়া অন্য কিছুই উদ্ধার করতে পরেনি গোয়েন্দা পুলিশ।
তবে পলাতক থাকায় গ্যারেজ মালিক খোরশেদ আলমকে আটক করা যায়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে আসামীরা।পুলিশ সুপার আরও বলেন তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলাও করা হয়েছে।তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
পিকে/এসপি