পরিযায়ী পাখির অভয়ারণ্য সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর। আর এই হাওরে ভাসছে পরিযায়ী পাখির মৃতদেহ। কয়েকদিন যাবত পাখির মৃতদেহ টাঙ্গুয়ার হাওরে ভেসে থাকতে দেখা গেছে। স্থানীয়দের ধারণ শিকারিদের বিষটোপে মরে যাচ্ছে পরিযায়ী পাখি।
জানাযায়, শীত মৌসুমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি টাঙ্গুয়ার হাওর-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসে আশ্রয় নেয়। প্রচণ্ড শীত থেকে বাঁচতে ও খাদ্যের সন্ধানে সুদুর সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া-সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে এসব পাখি আসে।
কিন্তু এসব পাখির অনেকগুলো আর ফিরে যেতে পারে না নিষ্ঠুর পাখি শিকারিদের হাতে মারা পড়ে। তবে এসব পাখি শিকারিদের বাধা দিতে কেউ এগিয়ে আসছে না বলেও জানান স্থানীয়রা।
শনিবার (১১ মার্চ) স্থানীয় বাঙ্গালভিটা গ্রামের বাসিন্দা অজিত হাজং জানান, গতকাল টাঙ্গুয়ার হাওরের বেরবেরিয়া বিলে পরিযায়ী পাখি মরা ভাসতে দেখে বাঙ্গালভিটা গ্রামের কয়েকজন শিশু মরা পাখি নিয়ে এসেছে। ওরা বলছে বেশ কিছু মরা পাখি এই স্থানে ভেসে রয়েছে।
স্থানীয় ইন্দ্রপুর গ্রামের হাঁসের খামারী কামরুল হাসান জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে আমার শতাধিক হাঁস মারা গেছে পাখি শিকারিদের বিষ খেয়ে। একই ভাবে শ্রীয়ারগাঁও গ্রামের হাঁসের খামারি নুর আলম এর খামারের হাঁস বিষ খেয়ে মারা যাওয়ায়, মন্দিয়াতা গ্রামে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে আমতরপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়াকে ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করে নিষ্পত্তি করা হয়।
এব্যাপারে বিল্লাল মিয়া বলেন, আমার বউয়ের বড়ভাই ক্ষেতে বিষ দিয়েছে এই বিষ খেয়ে হাঁস মারা গেছে এ জন্য জরিমানা দিয়ে শেষ করেছি। এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও জয়নাল আবেদীন কলেজের সাবেক অধ্যাপক আলী মর্তুজা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেন,
পরিযায়ী পাখি নিধনের জন্য ছিটানো বিষে খামারিদের হাঁস মরে যাওয়া টাঙ্গুয়ার হাওর ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার বড় নজির হয়ে থাকলো। মিঠা পানির মাছ আর পরিযায়ী পাখি রক্ষার জন্য বর্তমান পদ্ধতির আমুল পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি।
পিকে/এসপি
জানাযায়, শীত মৌসুমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি টাঙ্গুয়ার হাওর-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসে আশ্রয় নেয়। প্রচণ্ড শীত থেকে বাঁচতে ও খাদ্যের সন্ধানে সুদুর সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া-সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে এসব পাখি আসে।
কিন্তু এসব পাখির অনেকগুলো আর ফিরে যেতে পারে না নিষ্ঠুর পাখি শিকারিদের হাতে মারা পড়ে। তবে এসব পাখি শিকারিদের বাধা দিতে কেউ এগিয়ে আসছে না বলেও জানান স্থানীয়রা।
শনিবার (১১ মার্চ) স্থানীয় বাঙ্গালভিটা গ্রামের বাসিন্দা অজিত হাজং জানান, গতকাল টাঙ্গুয়ার হাওরের বেরবেরিয়া বিলে পরিযায়ী পাখি মরা ভাসতে দেখে বাঙ্গালভিটা গ্রামের কয়েকজন শিশু মরা পাখি নিয়ে এসেছে। ওরা বলছে বেশ কিছু মরা পাখি এই স্থানে ভেসে রয়েছে।
স্থানীয় ইন্দ্রপুর গ্রামের হাঁসের খামারী কামরুল হাসান জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে আমার শতাধিক হাঁস মারা গেছে পাখি শিকারিদের বিষ খেয়ে। একই ভাবে শ্রীয়ারগাঁও গ্রামের হাঁসের খামারি নুর আলম এর খামারের হাঁস বিষ খেয়ে মারা যাওয়ায়, মন্দিয়াতা গ্রামে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে আমতরপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়াকে ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করে নিষ্পত্তি করা হয়।
এব্যাপারে বিল্লাল মিয়া বলেন, আমার বউয়ের বড়ভাই ক্ষেতে বিষ দিয়েছে এই বিষ খেয়ে হাঁস মারা গেছে এ জন্য জরিমানা দিয়ে শেষ করেছি। এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও জয়নাল আবেদীন কলেজের সাবেক অধ্যাপক আলী মর্তুজা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেন,
পরিযায়ী পাখি নিধনের জন্য ছিটানো বিষে খামারিদের হাঁস মরে যাওয়া টাঙ্গুয়ার হাওর ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার বড় নজির হয়ে থাকলো। মিঠা পানির মাছ আর পরিযায়ী পাখি রক্ষার জন্য বর্তমান পদ্ধতির আমুল পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি।
পিকে/এসপি