কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের দালালচক্রের মূলহোতা শাকিল আহমেদ সুজনসহ চক্রের ২৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (৬ মার্চ) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে রোববার (৫ মার্চ) দিনব্যাপী কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানার শাকতলা গ্রামের সৈয়দ ফারুক আহম্মেদের ছেলে শাকিল আহম্মেদ সুজন (৩৮), কোতোয়ালি মডেল থানার বাগিচাগাঁও গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শাহাদাত হোসেন (২৭), নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত দুলু মিয়ার ছেলে মো. শরীফ (৩৪), মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. মাসুক (৫০), মো. আনিছুর রহমান সুমন খানের ছেলে মো. লিকন খান লিটন (২০), আলী হোসেনের ছেলে ডালিম সরকার (২০), মো. শওকতের ছেলে মো. ইরফান (২৮), মৃত আলী আশ্রাফের ছেলে মো. শওকত আলী (৫৪), কবির হোসেনের ছেলে মো. ওজায়ের হোসেন সাকিব (২০), নতুন চৌধুরী পাড়ার মৃত আব্দুর মোন্নাফের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন রোমান (৫২), মুরাদনগর থানার কুরুইল গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুর রহিম (৩৭), কোতোয়ালি মডেল থানার মোরাপাড়া গ্রামের শাহিন মিয়ার ছেলে ইশান আহম্মেদ রাব্বি (২৩), চট্টগ্রামের স্নদ্বীপ থানার মগধারা গ্রামের মোতাচ্ছের আহম্মদের ছেলে মুজিবুর রহমান (২১), কুমিল্লার বুড়িচং থানার পীর যাত্রাপুর গ্রামের শাহিন মিয়ার ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২০), কোতোয়ালি মডেল থানার মৃত মাঈন উদ্দিনের ছেলে মো. শাফি (২৯), মো. আজাহারের ছেলে মো. তুহিন (২০), খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থানার ব্রিজপাড়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মো. রুহুল আমিন রুবেল (৩০), কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ছোটরা গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে মো. মাজহারুল ইসলাম (২১), বুড়িচং থানার পয়াত গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান বাবুল (৫৩), আব্দুল হান্নানের ছেলে হাছিবুল হাসান জিমি (২৩), শিকারপুরের মো. তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে তানজিদ হাসান (২৭), দেবিদ্বার থানার ওয়াহেদপুর গ্রামের মৃত রমিজ আহম্মেদের ছেলে মো. ইমরুল হাসান (৪০), বুড়িচং থানার পীর যাত্রাপুর গ্রামের মৃত আব্দুর কাদেরের ছেলে মো. আবুল কালাম আজাদ (৫৫) এবং কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার কালিকাপুর গ্রামের মৃত আব্দুরের ছেলে মো. আব্দুল কাইয়ুম (৫২)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র্যাবের কাছে অসংখ্য ভুক্তভোগী দালাল চক্রের সদস্যদের অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পরও যথাসময়ে পাসপোর্ট পায়নি বলে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাইপূর্বক র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার একটি টিম ছায়াতদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি অভিযানিক দল গতকাল রোববার সারাদিন কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি মডেল থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে পাসপোর্ট দালালচক্রের মূলহোতাসহ মোট ২৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০টি পাসপোর্ট, ১০৮টি ডেলিভারি স্লিপ, ২৯টি জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি মোবাইল, ৭টি বিভিন্ন সিল, একটি প্যাড, নগদ ৪৩ হাজার টাকাসহ পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা পাসপোর্ট দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা দীর্ঘদিন যাবত পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার নাম করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত দালালদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাসপোর্ট অফিসে দালাল নির্মূলে র্যাবের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এমএফ/প্রিন্স
সোমবার (৬ মার্চ) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে রোববার (৫ মার্চ) দিনব্যাপী কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানার শাকতলা গ্রামের সৈয়দ ফারুক আহম্মেদের ছেলে শাকিল আহম্মেদ সুজন (৩৮), কোতোয়ালি মডেল থানার বাগিচাগাঁও গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শাহাদাত হোসেন (২৭), নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত দুলু মিয়ার ছেলে মো. শরীফ (৩৪), মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. মাসুক (৫০), মো. আনিছুর রহমান সুমন খানের ছেলে মো. লিকন খান লিটন (২০), আলী হোসেনের ছেলে ডালিম সরকার (২০), মো. শওকতের ছেলে মো. ইরফান (২৮), মৃত আলী আশ্রাফের ছেলে মো. শওকত আলী (৫৪), কবির হোসেনের ছেলে মো. ওজায়ের হোসেন সাকিব (২০), নতুন চৌধুরী পাড়ার মৃত আব্দুর মোন্নাফের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন রোমান (৫২), মুরাদনগর থানার কুরুইল গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুর রহিম (৩৭), কোতোয়ালি মডেল থানার মোরাপাড়া গ্রামের শাহিন মিয়ার ছেলে ইশান আহম্মেদ রাব্বি (২৩), চট্টগ্রামের স্নদ্বীপ থানার মগধারা গ্রামের মোতাচ্ছের আহম্মদের ছেলে মুজিবুর রহমান (২১), কুমিল্লার বুড়িচং থানার পীর যাত্রাপুর গ্রামের শাহিন মিয়ার ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২০), কোতোয়ালি মডেল থানার মৃত মাঈন উদ্দিনের ছেলে মো. শাফি (২৯), মো. আজাহারের ছেলে মো. তুহিন (২০), খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থানার ব্রিজপাড়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মো. রুহুল আমিন রুবেল (৩০), কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ছোটরা গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে মো. মাজহারুল ইসলাম (২১), বুড়িচং থানার পয়াত গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান বাবুল (৫৩), আব্দুল হান্নানের ছেলে হাছিবুল হাসান জিমি (২৩), শিকারপুরের মো. তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে তানজিদ হাসান (২৭), দেবিদ্বার থানার ওয়াহেদপুর গ্রামের মৃত রমিজ আহম্মেদের ছেলে মো. ইমরুল হাসান (৪০), বুড়িচং থানার পীর যাত্রাপুর গ্রামের মৃত আব্দুর কাদেরের ছেলে মো. আবুল কালাম আজাদ (৫৫) এবং কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার কালিকাপুর গ্রামের মৃত আব্দুরের ছেলে মো. আব্দুল কাইয়ুম (৫২)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র্যাবের কাছে অসংখ্য ভুক্তভোগী দালাল চক্রের সদস্যদের অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পরও যথাসময়ে পাসপোর্ট পায়নি বলে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাইপূর্বক র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার একটি টিম ছায়াতদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি অভিযানিক দল গতকাল রোববার সারাদিন কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি মডেল থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে পাসপোর্ট দালালচক্রের মূলহোতাসহ মোট ২৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০টি পাসপোর্ট, ১০৮টি ডেলিভারি স্লিপ, ২৯টি জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি মোবাইল, ৭টি বিভিন্ন সিল, একটি প্যাড, নগদ ৪৩ হাজার টাকাসহ পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা পাসপোর্ট দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা দীর্ঘদিন যাবত পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার নাম করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত দালালদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাসপোর্ট অফিসে দালাল নির্মূলে র্যাবের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এমএফ/প্রিন্স