যে বয়সে ছুটে বেড়ানোর কথা সেই বয়সে তাকে শিকলে বন্দি করে রেখেছে পরিবার। প্রতিটি বাবা-মা প্রতিটি সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। একটি পরিবারের সেই স্বপ্ন দারিদ্র্যের কাছে আজ বন্দি। অর্থভাবে মানসিক প্রতিবন্ধী সন্তান মমিনুর রহমানের চিকিৎসা করাতে না পেরে এক যুগ ধরে শিকলে বেঁধে রেখেছেন তার বাবা-মা। এ যেন এক মায়ের কাছে তার স্বপ্নকে শিকলে বেঁধে রাখার মত। সন্তানকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনতে অসহায় মায়ের আকুতি। মমিনুর রহমান লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ইশোরকোল এলাকার দিনমজুর তৈয়ব আলী এবং মর্জিনা বেগম দম্প্যতির ছেলে।
পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে মমিনুর ২য়। মানষিক প্রতিবন্ধী মমিনুরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে মমিনুরের জন্ম হয়। ৫ম শ্রেণী পাস করার পর হঠাৎ করেই মানসিক সমস্যা দেখা দেয় মমিনুর রহমানের। সন্তানের চিকিৎসার ব্যয়বহন করতে সহায় সম্বল সবটুকু বিক্রি করলেও তেমন কোনো ফল মেলেনি বরং বাড়তেই থাকে অসুখ। শেষ পর্যন্ত দারিদ্র্যের কারণে মমিনুরের চিকিৎসা শুরু হয়েও আর এগোয়নি। মমিনুরের বাবা দিনমজুরি করে যা পান তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার। বর্তমানে তার বাবা-মাও উভয়েই অসুস্থ্য।
দিন এনে দিন খাওয়া পরিবারটির পক্ষে মমিনুরের চিকিৎসার ব্যয় চালানো অসম্ভব। মমিনুরের মা মর্জিনা বেগম বলেন, এ অবস্থায় সন্তান মমিনুরের জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও সরকারের সহযোগিতা চান। তিনি আরো বলেন-সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগীতা পাননা।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মমিনুর রহমান একটা জীর্ণশীর্ণ টিনের ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে একটি ভাঙ্গা চৌকির মধ্যে বাস করেন। মমিনুরের বর্তমান নিত্যসঙ্গী একটি লোহার শিকল এবং একটি শিমুল গাছের গুড়ি। তার বাড়ীতে যেই যাচ্ছে তার দিকেই ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন এবং মাঝেমধ্যে হাসেন। এবিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম জানান, সরেজমিনে গিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সু-চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পিকে/এসপি
পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে মমিনুর ২য়। মানষিক প্রতিবন্ধী মমিনুরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে মমিনুরের জন্ম হয়। ৫ম শ্রেণী পাস করার পর হঠাৎ করেই মানসিক সমস্যা দেখা দেয় মমিনুর রহমানের। সন্তানের চিকিৎসার ব্যয়বহন করতে সহায় সম্বল সবটুকু বিক্রি করলেও তেমন কোনো ফল মেলেনি বরং বাড়তেই থাকে অসুখ। শেষ পর্যন্ত দারিদ্র্যের কারণে মমিনুরের চিকিৎসা শুরু হয়েও আর এগোয়নি। মমিনুরের বাবা দিনমজুরি করে যা পান তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার। বর্তমানে তার বাবা-মাও উভয়েই অসুস্থ্য।
দিন এনে দিন খাওয়া পরিবারটির পক্ষে মমিনুরের চিকিৎসার ব্যয় চালানো অসম্ভব। মমিনুরের মা মর্জিনা বেগম বলেন, এ অবস্থায় সন্তান মমিনুরের জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও সরকারের সহযোগিতা চান। তিনি আরো বলেন-সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগীতা পাননা।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মমিনুর রহমান একটা জীর্ণশীর্ণ টিনের ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে একটি ভাঙ্গা চৌকির মধ্যে বাস করেন। মমিনুরের বর্তমান নিত্যসঙ্গী একটি লোহার শিকল এবং একটি শিমুল গাছের গুড়ি। তার বাড়ীতে যেই যাচ্ছে তার দিকেই ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন এবং মাঝেমধ্যে হাসেন। এবিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম জানান, সরেজমিনে গিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সু-চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পিকে/এসপি