
কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানা ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদ ধসে সজল চন্দ্র দাশ নামের এক পুলিশ কনেস্টেবল গুরুতর আহত হয়েছে। এই ঘটনার পর ভবনটি পরিদর্শন ও প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ৯টার সময় থানা ভবনের আবাসিক রোমের ২য় তলার ছাদের আংশিক অংশ হঠাৎ ধসে পড়লে বিছানায় থাকা পুলিশ সদস্য কনেস্টেবল সজল চন্দ্র দাস (৩২) গুরুতর আহত হয়। আহত সজল চন্দ্র দাশ বি-বাড়িয়া জেলার নাছির নগর উপজেলার হরিপুর গ্রামের প্রমোদ চন্দ্র দাশের ছেলে। তিনি ১২ বছর ধরে চাকুরীতে কর্মরত আছেন।
আহত কনেস্টেবলকে উদ্ধার করে উপজেলাা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে, রাত সারে এগারোটায় কুমিল্লা পুলিশ লাইন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন, দাউদকান্দি-চান্দিনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তানভীর ফয়সাল ও দাউদকান্দি প্রকৌশলী কার্যালয়ের প্রকৌশলীরা। প্রাথমিক তদন্ত শেষে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ন ঘোষনা করেন এবং একটা অংশ থেকে দ্রুত বাসস্থান পরিবর্তনের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় ব্যারাকে থাকা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, দাউদকান্দি মডেল থানার প্রধান ভবনটির নীচতলায় অফিস, অস্ত্রাগার, মালখানা ও হাজত খানা রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় অফিসারসহ প্রায় অর্ধশতাধীক পুলিশ সদস্য বসবাস করে। ভবনটি দীর্ঘদিনের পুরাতন হওয়ায় কোথাও ফাটল, কোথাও শেওলা পড়ে আছে।
আবার কিছু যায়গায় প্লাস্টার খসে পড়ছে। ভবনটিতে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে পুলিশ সদস্যরা। এমতাবস্থায় বড় ধরণের দুর্ঘটনায় আশংঙ্কা রয়েছে। এদিকে ছাদের একাংশের ধসে পড়াযদয় দুটি কক্ষে রাত্রি যাপনে নিষেধাজ্ঞা দেন প্রকৌশলীরা। এতে, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এক ধরণের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কনেস্টেবল আকাশ মল্লিক বলেন, আমরা বিছানায় বসে কথা বলছিলাম। হঠাৎ ভবনটি মড়মড় শব্দ শোনে ভূমিকম্প ভেবে আমি ভয়ে দৌড়ে বের হয়ে যাই। আমি বের হতে পারলেও সজল বের হতে পারেনি। পরে, এসে দেখী সে জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে আছে। এবং ছাদ ধসের কংক্রিটের খন্ড খন্ড অংশ পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি তদন্ত সামছুল আলম প্রধান বলেন, আমি তখন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডিউটিরত ছিলাম। খবর পেয়ে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথায় প্রচন্ত আঘাত পেয়েছে এবং তার পায়ে ৩টি সেলাই লেগেছে। তাকে পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দাউদকান্দি-চান্দিনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তানভীর ফয়সাল বলেন, খবর পেয়ে থানায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে খবর পাঠালে তারা এটি পরিদর্শন শেষে বিভিন্ন যায়গায় টেম্পার না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে বলে জানান। কনেস্টেবল সজল আগের চেয়ে সুস্থ আছেন।
দাউদকান্দি উপজেলা উপ সহাকারী প্রকৌশলী জিসান আহাম্মেদ সরকার ও কনক মিয়া বলেন, ভবনটি পরিদর্শন করেছি। ছাদের বিভিন্নস্থানে পানি জমার কারনে কংক্রিট ডেমেজ হয়েছে এবং রডে মরিচা ধরার কারনে ছাদটি ধসে পড়ে। এটি আশংঙ্কা জনক অবস্থায় আছে। যে কোন সময় বড় ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আমরা ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছি।
পিকে/এসপি।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ৯টার সময় থানা ভবনের আবাসিক রোমের ২য় তলার ছাদের আংশিক অংশ হঠাৎ ধসে পড়লে বিছানায় থাকা পুলিশ সদস্য কনেস্টেবল সজল চন্দ্র দাস (৩২) গুরুতর আহত হয়। আহত সজল চন্দ্র দাশ বি-বাড়িয়া জেলার নাছির নগর উপজেলার হরিপুর গ্রামের প্রমোদ চন্দ্র দাশের ছেলে। তিনি ১২ বছর ধরে চাকুরীতে কর্মরত আছেন।
আহত কনেস্টেবলকে উদ্ধার করে উপজেলাা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে, রাত সারে এগারোটায় কুমিল্লা পুলিশ লাইন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন, দাউদকান্দি-চান্দিনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তানভীর ফয়সাল ও দাউদকান্দি প্রকৌশলী কার্যালয়ের প্রকৌশলীরা। প্রাথমিক তদন্ত শেষে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ন ঘোষনা করেন এবং একটা অংশ থেকে দ্রুত বাসস্থান পরিবর্তনের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় ব্যারাকে থাকা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, দাউদকান্দি মডেল থানার প্রধান ভবনটির নীচতলায় অফিস, অস্ত্রাগার, মালখানা ও হাজত খানা রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় অফিসারসহ প্রায় অর্ধশতাধীক পুলিশ সদস্য বসবাস করে। ভবনটি দীর্ঘদিনের পুরাতন হওয়ায় কোথাও ফাটল, কোথাও শেওলা পড়ে আছে।
আবার কিছু যায়গায় প্লাস্টার খসে পড়ছে। ভবনটিতে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে পুলিশ সদস্যরা। এমতাবস্থায় বড় ধরণের দুর্ঘটনায় আশংঙ্কা রয়েছে। এদিকে ছাদের একাংশের ধসে পড়াযদয় দুটি কক্ষে রাত্রি যাপনে নিষেধাজ্ঞা দেন প্রকৌশলীরা। এতে, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এক ধরণের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কনেস্টেবল আকাশ মল্লিক বলেন, আমরা বিছানায় বসে কথা বলছিলাম। হঠাৎ ভবনটি মড়মড় শব্দ শোনে ভূমিকম্প ভেবে আমি ভয়ে দৌড়ে বের হয়ে যাই। আমি বের হতে পারলেও সজল বের হতে পারেনি। পরে, এসে দেখী সে জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে আছে। এবং ছাদ ধসের কংক্রিটের খন্ড খন্ড অংশ পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি তদন্ত সামছুল আলম প্রধান বলেন, আমি তখন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডিউটিরত ছিলাম। খবর পেয়ে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথায় প্রচন্ত আঘাত পেয়েছে এবং তার পায়ে ৩টি সেলাই লেগেছে। তাকে পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দাউদকান্দি-চান্দিনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তানভীর ফয়সাল বলেন, খবর পেয়ে থানায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে খবর পাঠালে তারা এটি পরিদর্শন শেষে বিভিন্ন যায়গায় টেম্পার না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে বলে জানান। কনেস্টেবল সজল আগের চেয়ে সুস্থ আছেন।
দাউদকান্দি উপজেলা উপ সহাকারী প্রকৌশলী জিসান আহাম্মেদ সরকার ও কনক মিয়া বলেন, ভবনটি পরিদর্শন করেছি। ছাদের বিভিন্নস্থানে পানি জমার কারনে কংক্রিট ডেমেজ হয়েছে এবং রডে মরিচা ধরার কারনে ছাদটি ধসে পড়ে। এটি আশংঙ্কা জনক অবস্থায় আছে। যে কোন সময় বড় ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আমরা ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছি।
পিকে/এসপি।