
"অযত্ন-অবহেলা আর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে নামী-দামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের যানবাহন। বছরের পর বছর পড়ে থাকায় রোদবৃষ্টি আর ধুলা-ময়লায় মরিচা পড়ে যন্ত্রাংশ নষ্টসহ মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
আর এসব হচ্ছে আইনি জটিলতায় মারপেঁচে পড়ে দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকা যানবাহন। আর এ জন্যেই হারিয়ে ফেলছে চলাচলের ক্ষমতাও। আর ওয়াকসন না হওয়ায় সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। বলছি, কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানায় বিভিন্ন মামলায় আটক যানবাহনের কথা।
জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনা, চুরি, চোরাই পণ্য পরিবহন, মাদকদ্রব্য বহনসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের জব্দ করা পাজারো, জিপ, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, পিকআপ ভ্যান, ট্রাক আটক করার পর মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এসব যানবাহন অযত্নে পড়ে থাকছে থানার ভিতরে খোলা আকাশের নিচে।
দিনের পর দিন সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে যানবাহনগুলো। একটা সময় পরে এগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, থানার ভিতরের আবাসিক এলাকায় রাখা গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে, টয়োটা জিপ, মাইক্রো, মোটর সাইকেল, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ শতাধীক গাড়ী অজত্নে পড়ে আছে।
কোনটার চাকা মাটির নীচে ডেবে গেছে। কোনটার দরজা ভেঙ্গে পড়ে আছে। কোনটার আবার মরিচা পড়ে চেহেরাই পাল্টে গেছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকরনে কারনেই এসব হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, থানায় জব্দ যানবাহন নষ্ট হচ্ছে। গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে মালিকের না আসা, আদালতের নির্দেশনা ছাড়া এসব যানবাহন নিলামে বিক্রি করতে না পারা এবং থানা কর্তৃপক্ষও জব্দ যানবাহন সম্পর্কে আদালতকে অবগত না করায় কোটি টাকার সম্পদ অনায়াসে ধ্বংস স্তুপে পরিণত হচ্ছে। এতে করে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে।
মামলার আলামত হিসেবে এসব যানবাহন জব্দ করা হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খোলা আকাশের নীচে বছরের পর বছর পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। দিনে দিনে যানবাহনগুলো বিকল হয়ে পড়লে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
মডেল থানায় অনেক গাড়ি পড়ে আছে। এসব গাড়ি বিক্রি করে দিলে যেমন থানার পরিবেশ সুন্দর হয়, তেমনি সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। এমন কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। আমি আশা করব দ্রুত কতৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জুনায়েত চৌধুরী বলেন, থানায় রাখা গাড়িগুলো বিভিন্ন মামলার আলামত। মামলা চলমান। আদালত নির্দেশনা না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। কাগজপত্র না থাকলে বা আদালতে মামলা থাকলে নিষ্পত্তির জটিলতায় বেশিরভাগ মালিক যোগাযোগ করেন না। আদালতের নির্দেশনা না আসায় গাড়িগুলো মালিককে ফেরত দেওয়া যাচ্ছে না।
কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ রাসেল আহমেদ (রাফি) বলেন: আইন অনুসারে তদন্ত চলাকালে জিম্মা না দেওয়ার সুযোগ থাকলেও, বছরের পর বছর এগুলো অব্যবস্থাপনায় পড়ে থাকার ফলে সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মালিকরাও তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অনেক সময় আদালতের জিম্মা আদেশ থাকলেও প্রশাসনিক গাফিলতি ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে তা বাস্তবায়ন হয় না। আবার অকশন বা নিলাম প্রক্রিয়াও দুর্নীতির আশঙ্কায় ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত হয়, ফলে সরকার রাজস্ব আয় হারায়।
এই বাস্তবতায় দ্রুত তদন্ত শেষে জিম্মা প্রদান অথবা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিলাম কার্যকর করার জন্য একটি সময়োপযোগী ও সমন্বিত নীতিমালা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষা, বিচার প্রক্রিয়ার গতি এবং জনআস্থা-সবকিছুই নিশ্চিত হবে।
পিকে/এসপি
আর এসব হচ্ছে আইনি জটিলতায় মারপেঁচে পড়ে দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকা যানবাহন। আর এ জন্যেই হারিয়ে ফেলছে চলাচলের ক্ষমতাও। আর ওয়াকসন না হওয়ায় সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। বলছি, কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানায় বিভিন্ন মামলায় আটক যানবাহনের কথা।
জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনা, চুরি, চোরাই পণ্য পরিবহন, মাদকদ্রব্য বহনসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের জব্দ করা পাজারো, জিপ, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, পিকআপ ভ্যান, ট্রাক আটক করার পর মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এসব যানবাহন অযত্নে পড়ে থাকছে থানার ভিতরে খোলা আকাশের নিচে।
দিনের পর দিন সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে যানবাহনগুলো। একটা সময় পরে এগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, থানার ভিতরের আবাসিক এলাকায় রাখা গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে, টয়োটা জিপ, মাইক্রো, মোটর সাইকেল, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ শতাধীক গাড়ী অজত্নে পড়ে আছে।
কোনটার চাকা মাটির নীচে ডেবে গেছে। কোনটার দরজা ভেঙ্গে পড়ে আছে। কোনটার আবার মরিচা পড়ে চেহেরাই পাল্টে গেছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকরনে কারনেই এসব হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, থানায় জব্দ যানবাহন নষ্ট হচ্ছে। গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে মালিকের না আসা, আদালতের নির্দেশনা ছাড়া এসব যানবাহন নিলামে বিক্রি করতে না পারা এবং থানা কর্তৃপক্ষও জব্দ যানবাহন সম্পর্কে আদালতকে অবগত না করায় কোটি টাকার সম্পদ অনায়াসে ধ্বংস স্তুপে পরিণত হচ্ছে। এতে করে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে।
মামলার আলামত হিসেবে এসব যানবাহন জব্দ করা হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খোলা আকাশের নীচে বছরের পর বছর পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। দিনে দিনে যানবাহনগুলো বিকল হয়ে পড়লে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
মডেল থানায় অনেক গাড়ি পড়ে আছে। এসব গাড়ি বিক্রি করে দিলে যেমন থানার পরিবেশ সুন্দর হয়, তেমনি সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। এমন কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। আমি আশা করব দ্রুত কতৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জুনায়েত চৌধুরী বলেন, থানায় রাখা গাড়িগুলো বিভিন্ন মামলার আলামত। মামলা চলমান। আদালত নির্দেশনা না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। কাগজপত্র না থাকলে বা আদালতে মামলা থাকলে নিষ্পত্তির জটিলতায় বেশিরভাগ মালিক যোগাযোগ করেন না। আদালতের নির্দেশনা না আসায় গাড়িগুলো মালিককে ফেরত দেওয়া যাচ্ছে না।
কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ রাসেল আহমেদ (রাফি) বলেন: আইন অনুসারে তদন্ত চলাকালে জিম্মা না দেওয়ার সুযোগ থাকলেও, বছরের পর বছর এগুলো অব্যবস্থাপনায় পড়ে থাকার ফলে সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মালিকরাও তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অনেক সময় আদালতের জিম্মা আদেশ থাকলেও প্রশাসনিক গাফিলতি ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে তা বাস্তবায়ন হয় না। আবার অকশন বা নিলাম প্রক্রিয়াও দুর্নীতির আশঙ্কায় ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত হয়, ফলে সরকার রাজস্ব আয় হারায়।
এই বাস্তবতায় দ্রুত তদন্ত শেষে জিম্মা প্রদান অথবা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিলাম কার্যকর করার জন্য একটি সময়োপযোগী ও সমন্বিত নীতিমালা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষা, বিচার প্রক্রিয়ার গতি এবং জনআস্থা-সবকিছুই নিশ্চিত হবে।
পিকে/এসপি