"নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবনা শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (৮ অক্টোবর) মঙ্গলবার ল'অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অফ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি আয়োজনে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগিতায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়ার্ল্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফারদিন হাসান আন্তন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাভিদ নওরোজ শাহ্। অতিথির আসন অলংকৃত করে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট শাকিল আহমাদ এবং ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার সাঈদ সারওয়ার।
গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আহতদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সকলের বক্তব্যে উঠে আসে যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ ব্যতীত এই আন্দোলন কখনোই অভ্যুত্থানে হতে পারত না।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া এক আন্দোলন কিভাবে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়ে শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র সংস্কারের গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেল তা বুঝতে হলে তাকাতে হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর দিকে।
আন্দোলনের সূত্রপাতকারী সবাইকে যখন হল ছেড়ে দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়, তখন ঢাকার রাস্তা গুলো দখল নিয়ে নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে আন্দোলন ধরে রাখে একদল নতুন ছেলে মেয়ে। সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে সীমিত আগ্রহ থাকলেও তাদের কাছে বড় হয়ে দাঁড়ায় নৈতিকতা আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
ঢাকায় যে কোন যৌক্তিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, এই যুগে ততটুকুই গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ২০১৫ থেকে ২০২৪ প্রতিবারেই তা প্রমাণিত হয়েছে। নো ভ্যাট অন এডুকেশন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, দুই বার কোটা সংস্কার আন্দোলন; বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্পটে অবস্থান কর্মসূচি ছাড়া ঢাকা ব্লক করে সরকারকে চাপে ফেলা কার্যত অসম্ভব।
এছাড়াও আইন অঙ্গন থেকে শুরু করে সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্পোরেট সহ সকল পেশাজীবি সমাজে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এবং বেসরকারি চাকরি ব্যবসা করা মানুষজন মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন এই আন্দোলনে। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারে যখন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছাত্র-শিক্ষক দের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে তখন নীতিনির্ধারকগণ ভুলে যাচ্ছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা।
মঞ্জুরি কমিশন বা শিক্ষা কমিশন কিংবা সংস্কার কমিশনগুলো, কোথায় আছে তারা? রাজপথে যাওয়ার সময় কেউই কিছু পাওয়ার আশা করে নাই। তবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে নতুন করে স্বাধীনতা অর্জনের পর সকল বৈষম্যের ঊর্ধ্বে গিয়ে যোগ্যতাকে কি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে? বক্তারা আরও বলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি প্রয়োজন তবে কোনভাবেই যেন দলীয় লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি প্রবেশ করে পরিবেশ নষ্ট না করতে পারে।
শুধু চাকরিমুখী পড়াশুনা নয়, গবেষণায় সময় ও বরাদ্দ বাড়াতে হবে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেও সংস্কার প্রয়োজন যেন দলীয় সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপ না থাকে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোন কর্পরেশনে পরিণত না হয়। বক্তারা একমত হন কোন ভ্যাট বসানো যাবে না শিক্ষায়।
জনমানুষের বিশ্ববিদ্যালয় হতে হলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অহেতুক ডেভেলপমেন্ট ফি অথবা ক্যান্টিনে খাবারের খরচ কমিয়ে এবং ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করে আরও শিক্ষার্থীবান্ধব হতে হবে। নাগরিক অধিকার রক্ষায় সামনের দিনগুলোতেও একসাথে কাজ করে রাষ্ট্র সংস্কারে ভূমিকা রাখার প্রত্যয় জানিয়ে আলোচনা শেষ হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তি
পিকে/এসপি
উক্ত সভায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়ার্ল্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফারদিন হাসান আন্তন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাভিদ নওরোজ শাহ্। অতিথির আসন অলংকৃত করে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট শাকিল আহমাদ এবং ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার সাঈদ সারওয়ার।
গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আহতদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সকলের বক্তব্যে উঠে আসে যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ ব্যতীত এই আন্দোলন কখনোই অভ্যুত্থানে হতে পারত না।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া এক আন্দোলন কিভাবে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়ে শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র সংস্কারের গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেল তা বুঝতে হলে তাকাতে হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর দিকে।
আন্দোলনের সূত্রপাতকারী সবাইকে যখন হল ছেড়ে দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়, তখন ঢাকার রাস্তা গুলো দখল নিয়ে নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে আন্দোলন ধরে রাখে একদল নতুন ছেলে মেয়ে। সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে সীমিত আগ্রহ থাকলেও তাদের কাছে বড় হয়ে দাঁড়ায় নৈতিকতা আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
ঢাকায় যে কোন যৌক্তিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, এই যুগে ততটুকুই গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ২০১৫ থেকে ২০২৪ প্রতিবারেই তা প্রমাণিত হয়েছে। নো ভ্যাট অন এডুকেশন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, দুই বার কোটা সংস্কার আন্দোলন; বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্পটে অবস্থান কর্মসূচি ছাড়া ঢাকা ব্লক করে সরকারকে চাপে ফেলা কার্যত অসম্ভব।
এছাড়াও আইন অঙ্গন থেকে শুরু করে সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্পোরেট সহ সকল পেশাজীবি সমাজে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এবং বেসরকারি চাকরি ব্যবসা করা মানুষজন মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন এই আন্দোলনে। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারে যখন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছাত্র-শিক্ষক দের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে তখন নীতিনির্ধারকগণ ভুলে যাচ্ছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা।
মঞ্জুরি কমিশন বা শিক্ষা কমিশন কিংবা সংস্কার কমিশনগুলো, কোথায় আছে তারা? রাজপথে যাওয়ার সময় কেউই কিছু পাওয়ার আশা করে নাই। তবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে নতুন করে স্বাধীনতা অর্জনের পর সকল বৈষম্যের ঊর্ধ্বে গিয়ে যোগ্যতাকে কি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে? বক্তারা আরও বলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি প্রয়োজন তবে কোনভাবেই যেন দলীয় লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি প্রবেশ করে পরিবেশ নষ্ট না করতে পারে।
শুধু চাকরিমুখী পড়াশুনা নয়, গবেষণায় সময় ও বরাদ্দ বাড়াতে হবে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেও সংস্কার প্রয়োজন যেন দলীয় সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপ না থাকে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোন কর্পরেশনে পরিণত না হয়। বক্তারা একমত হন কোন ভ্যাট বসানো যাবে না শিক্ষায়।
জনমানুষের বিশ্ববিদ্যালয় হতে হলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অহেতুক ডেভেলপমেন্ট ফি অথবা ক্যান্টিনে খাবারের খরচ কমিয়ে এবং ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করে আরও শিক্ষার্থীবান্ধব হতে হবে। নাগরিক অধিকার রক্ষায় সামনের দিনগুলোতেও একসাথে কাজ করে রাষ্ট্র সংস্কারে ভূমিকা রাখার প্রত্যয় জানিয়ে আলোচনা শেষ হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তি
পিকে/এসপি