কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সুন্দলপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এই ঘটনায় আহত হুমায়ুনের মা সাজেদা বেগম গেল ৯ জানুয়ারি ৩জনকে আসামী করে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৬/২৪।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গেল ৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য নিজ বসতঘর থেকে বের হন ওই গ্রামের মো. আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হুমায়ুন কবির। এদিকে পথের মধ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওৎপেতে থাকে ওই গ্রামের আব্দু মিয়ার ছেলে মাঈনুদ্দিন মিয়া।
হুমায়ুন কবির বাড়ী থেকে বের হলেই পিছন থেকে এলোপাথাড়ি পিটাতে থাকে। একপর্যায়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পরলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারতে থাকে। এবং হুমায়ুনের ডাক চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে মাঈনুদ্দিন পালিয়ে যায়। পরে হুমায়ুন কবিরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (গৌরীপুর হসপাতালে) নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এই ঘটনায় সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, হুমায়ুন এবং মাঈনুদ্দিন গংয়ের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। মাঈনুদ্দিন গংরা জোরপূর্বক জমি দখল করে রেখেছে। হুমায়ুন যখনই জমি চায় তখনই তার উপর চড়াও হন তারা। এবং বিভিন্ন ভয়ভীতিসহ মেরে ফেলার হুমকি দেন।
ওই বাড়ীর রোকসানা বেগম বলেন, হুমায়ুন মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হলেই মাঈনুদ্দিন অনেক মারধর করে। এর পূর্বেও তাদেরকে হুমকি দিয়েছে। মাঈনুদ্দিনরা জোরপূর্বক জমি দখল করে রেখেছে।
মাঈনুদ্দিনের চাচা মোশাররফ হোসেন বলেন, আমার কোন ছেলে সন্তান নেই। একটা মাত্র মেয়ে। আমি যখনই কোন জমি বিক্রি করতে যাই তখনই মাঈনুদ্দিন হুমকি দেয়। সে আমাদেরকে অত্যাচার করে। মারধর করতে আসে। কয়েকদিন আগে হুমায়ুনকে অনেক মারধর করে। আমরা তার বিচার চাই।
আহত হুমায়ুন কবির আজ সকালে সাংবাদিকদের বলেন, আমার উপর অন্যায় ভাবে হামলা করা হয়েছে। যা ছিলো পূর্বপরিকল্পিত। আমার চিৎকারে শোনে লোকজন দৌড়ে আসে তাই আমি প্রানে বেঁচে যাই। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই হামলা। এ ব্যাপারে হামলাকারী মাঈনুদ্দিনের সাথে কথা বলার জন্য তার বাবাসায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
দাউদকান্দি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সুজয় মজুমদার বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামীকে আটক করার চেস্টা করছে। আসামীরা পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, মাঈনুদ্দিন গংদের এমন কর্মকান্ডে হুমায়ুন কবিরের মা সাজেদা বেগম ২০২৩ সালের ১২ মে দাউদকান্দি মডেল থানার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ নং-১০৬৯, একই দিনে তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন মোশাররফ। যার নাম্বার- ১০৭০। মাঈনুদ্দিনদের অত্যাচারে হুমায়ুন কবিরের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
পিকে/এসপি
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গেল ৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য নিজ বসতঘর থেকে বের হন ওই গ্রামের মো. আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হুমায়ুন কবির। এদিকে পথের মধ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওৎপেতে থাকে ওই গ্রামের আব্দু মিয়ার ছেলে মাঈনুদ্দিন মিয়া।
হুমায়ুন কবির বাড়ী থেকে বের হলেই পিছন থেকে এলোপাথাড়ি পিটাতে থাকে। একপর্যায়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পরলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারতে থাকে। এবং হুমায়ুনের ডাক চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে মাঈনুদ্দিন পালিয়ে যায়। পরে হুমায়ুন কবিরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (গৌরীপুর হসপাতালে) নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এই ঘটনায় সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, হুমায়ুন এবং মাঈনুদ্দিন গংয়ের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। মাঈনুদ্দিন গংরা জোরপূর্বক জমি দখল করে রেখেছে। হুমায়ুন যখনই জমি চায় তখনই তার উপর চড়াও হন তারা। এবং বিভিন্ন ভয়ভীতিসহ মেরে ফেলার হুমকি দেন।
ওই বাড়ীর রোকসানা বেগম বলেন, হুমায়ুন মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হলেই মাঈনুদ্দিন অনেক মারধর করে। এর পূর্বেও তাদেরকে হুমকি দিয়েছে। মাঈনুদ্দিনরা জোরপূর্বক জমি দখল করে রেখেছে।
মাঈনুদ্দিনের চাচা মোশাররফ হোসেন বলেন, আমার কোন ছেলে সন্তান নেই। একটা মাত্র মেয়ে। আমি যখনই কোন জমি বিক্রি করতে যাই তখনই মাঈনুদ্দিন হুমকি দেয়। সে আমাদেরকে অত্যাচার করে। মারধর করতে আসে। কয়েকদিন আগে হুমায়ুনকে অনেক মারধর করে। আমরা তার বিচার চাই।
আহত হুমায়ুন কবির আজ সকালে সাংবাদিকদের বলেন, আমার উপর অন্যায় ভাবে হামলা করা হয়েছে। যা ছিলো পূর্বপরিকল্পিত। আমার চিৎকারে শোনে লোকজন দৌড়ে আসে তাই আমি প্রানে বেঁচে যাই। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই হামলা। এ ব্যাপারে হামলাকারী মাঈনুদ্দিনের সাথে কথা বলার জন্য তার বাবাসায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
দাউদকান্দি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সুজয় মজুমদার বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামীকে আটক করার চেস্টা করছে। আসামীরা পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, মাঈনুদ্দিন গংদের এমন কর্মকান্ডে হুমায়ুন কবিরের মা সাজেদা বেগম ২০২৩ সালের ১২ মে দাউদকান্দি মডেল থানার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ নং-১০৬৯, একই দিনে তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন মোশাররফ। যার নাম্বার- ১০৭০। মাঈনুদ্দিনদের অত্যাচারে হুমায়ুন কবিরের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
পিকে/এসপি