যশোর, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : ফুল বেচা-কেনার মওসুমের শুরুতে আশানুরুপ দাম পেয়ে খুশি যশোরের ঝিকরগাছার গদখালির ফুলচাষিরা। এ মওসুমে ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা তাদের।
ফুলের ‘রাজধানী খ্যাত’ গদখালিতে গাছের নিবিড় পরিচর্যা ও বিভিন্ন প্রজাতির ফুল বাজারে এনে বিক্রির জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে
আজ শুক্রবারসহ গত তিনদিন ধরে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে গোলাপ, গ্লাডিউলাস, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, গাঁদাফুল, জিপসি, রডস্টিক, জারবেরাসহ বিভিন্ন প্রজাতের ফুল। মওসুমের শুরুতেই চাষিরা ফুলের বাজার ধরতে বিরামহীনভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বাসসকে বলেন, এ উপজেলায় ৬৩০ হেক্টর জমিতে ১০-১২ প্রজাতির ফুল চাষ হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি ফুল চাষ হয়ে থাকে পানিসারা, গদখালি ও নাভারণ ইউনিয়নে।
এখানে ৬-৭ হাজার কৃষক সরাসরিভাবে ফুলচাষের সঙ্গে জড়িত। পরোক্ষভাবে প্রায় ১ লাখ নারী-পুরুষ জমি থেকে ফুল কাটা, বাজারে আনা-নেয়া, বিক্রিসহ এ পেশার সঙ্গে জড়িত। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ফুলের মোট চাহিদার ৭০শতাংশ গদখালি থেকে পূরণ হয়ে থাকে।
এখানকার ফুলচাষ এখন শিল্প হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ফুল চাষিদের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।
গদখালি এলাকার ফুলচাষি ইসমাইল হোসেন ও শাহজাহান আলী জানান, এ বছর ফুলের উৎপাদন ভালো হয়েছে। দামও আশানুরুপ। মওসুমের শুরুতে ফুলের বাজার দর ভালো থাকায় খুশি ফুলচাষিরা। শেষ পর্যন্ত বাজার দর ভালো থাকলে বার্ষিক উৎপাদন ও বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
চাহিদা থাকায় মহান বিজয় দিবস, আসন্ন বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বিশ্ব ভালবাসা দিবসসহ অন্যান্য দিবসে ফুলের বাজার নিয়ে আশাবাদী ফুল চাষিরা। বর্তমান দাম অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত ফুলের দাম পেলে চাষিরা লাভবান হবেন বলে তারা জানান।
যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুর রহিম বাসসকে জানান, এ মওসুমে গদখালি থেকে ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। বাজার দর এভাবে অব্যাহত থাকলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
গত ৩-৪ বছর ফুলের দাম কম থাকায় ফুল চাষিরা যে ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছিলেন এবার সেটি পুষিয়ে নিতে পারবেন।গদখালির বাজারে বর্তমানে প্রতি পিস গোলাপ ফুল ৮-১০টাকা, জারবেরা প্রতিপিস ১২-১৮ টাকা,রজনীগন্ধা প্রতি পিস ৫-৭টাকা,গাঁদা ফুল প্রতি হাজার ১ হাজার টাকা, গ্লাডিউলাস প্রতি পিস ১০-১৫টাকা, চন্দ্রমল্লিকা প্রতিপিস ৬-৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
পিকে/এসপি
ফুলের ‘রাজধানী খ্যাত’ গদখালিতে গাছের নিবিড় পরিচর্যা ও বিভিন্ন প্রজাতির ফুল বাজারে এনে বিক্রির জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে
আজ শুক্রবারসহ গত তিনদিন ধরে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে গোলাপ, গ্লাডিউলাস, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, গাঁদাফুল, জিপসি, রডস্টিক, জারবেরাসহ বিভিন্ন প্রজাতের ফুল। মওসুমের শুরুতেই চাষিরা ফুলের বাজার ধরতে বিরামহীনভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বাসসকে বলেন, এ উপজেলায় ৬৩০ হেক্টর জমিতে ১০-১২ প্রজাতির ফুল চাষ হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি ফুল চাষ হয়ে থাকে পানিসারা, গদখালি ও নাভারণ ইউনিয়নে।
এখানে ৬-৭ হাজার কৃষক সরাসরিভাবে ফুলচাষের সঙ্গে জড়িত। পরোক্ষভাবে প্রায় ১ লাখ নারী-পুরুষ জমি থেকে ফুল কাটা, বাজারে আনা-নেয়া, বিক্রিসহ এ পেশার সঙ্গে জড়িত। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ফুলের মোট চাহিদার ৭০শতাংশ গদখালি থেকে পূরণ হয়ে থাকে।
এখানকার ফুলচাষ এখন শিল্প হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ফুল চাষিদের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।
গদখালি এলাকার ফুলচাষি ইসমাইল হোসেন ও শাহজাহান আলী জানান, এ বছর ফুলের উৎপাদন ভালো হয়েছে। দামও আশানুরুপ। মওসুমের শুরুতে ফুলের বাজার দর ভালো থাকায় খুশি ফুলচাষিরা। শেষ পর্যন্ত বাজার দর ভালো থাকলে বার্ষিক উৎপাদন ও বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
চাহিদা থাকায় মহান বিজয় দিবস, আসন্ন বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বিশ্ব ভালবাসা দিবসসহ অন্যান্য দিবসে ফুলের বাজার নিয়ে আশাবাদী ফুল চাষিরা। বর্তমান দাম অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত ফুলের দাম পেলে চাষিরা লাভবান হবেন বলে তারা জানান।
যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুর রহিম বাসসকে জানান, এ মওসুমে গদখালি থেকে ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। বাজার দর এভাবে অব্যাহত থাকলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
গত ৩-৪ বছর ফুলের দাম কম থাকায় ফুল চাষিরা যে ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছিলেন এবার সেটি পুষিয়ে নিতে পারবেন।গদখালির বাজারে বর্তমানে প্রতি পিস গোলাপ ফুল ৮-১০টাকা, জারবেরা প্রতিপিস ১২-১৮ টাকা,রজনীগন্ধা প্রতি পিস ৫-৭টাকা,গাঁদা ফুল প্রতি হাজার ১ হাজার টাকা, গ্লাডিউলাস প্রতি পিস ১০-১৫টাকা, চন্দ্রমল্লিকা প্রতিপিস ৬-৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
পিকে/এসপি