জেলার কাহারোল উপজেলার পল্লীতে কমলা চাষে সফলতা অর্জন করেছেন প্রভাষক সেলিম রেজা। এক একর জমিতে চায়না ও পাকিস্তানি জাতের কমলা চাষ করে প্রথম বছরেই তিনি আয় করেছেন আড়াই লাখ টাকা। এ বছর তিনি প্রায় ৬ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
তিনি দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার সরনজা গ্রামের বাসিন্দা ও সদর উপজেলার চাঁদগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। তার নিজস্ব এক একর জমিতে গত ২০২০ সালের জুন মাসে চায়না ও পাকিস্তানী জাতের দু‘শ কমলা ও দু‘শ মাল্টার চারা রোপন করেন।
সেলিম রেজা জানান- গত ২০২২ এপ্রিলে তার বাগানে প্রথম ফলন আসতে শুরু করে। প্রথম বছরেই তিনি ৩৫ মণ কমলা ও ৫০ মণ মাল্টা বিক্রি করেন। তারপর দ্বিতীয় বছর ২০২৩ সালে তার বাগানের সবগুলো গাছেই ফল আসে। এবারে তার মাল্টা গাছ থেকে ১২০ মণ ফল পেয়েছেন।
এসব মাল্টা বাগান থেকে ক্রেতারা ক্রয় করে নিয়ে গেছেন। আর কমলা গাছ থেকে তিনি ১০০ মণ কমলা পাওয়ার আশা করছেন। এরই মধ্যে তিনি ৩০ মন কমলা বিক্রি সম্পন্ন করেছেন। আরো ৭০ মন কমলা পাবেন বলে আশা করছেন। তিনি জানান, গত ২০২০ সালে চুয়াডাঙ্গা থেকে তিনি ২০০ কমলা ও ২০০ মাল্টার চারা কিনে এক একর জমিতে রোপণ করেন।
সরেজমিনে বাগান ঘুরে দেখা যায়, কমলা বাগানে সারিবদ্ধভাবে লাগানো ৭/৮ ফিট উচ্চতার বিভিন্ন গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে রঙিন কমলা। একই উচ্চতার কয়েকটি গাছে মাল্টা রয়েছে। তিনি জানান, তার বাগানের কমলা ও মাল্টা খুবই রসালো, মিষ্টি ও সুস্বাদু।
প্রতিদিনই দিনাজপুর জেলা শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন তার বাগান দেখতে আসেন। দর্শনাথীরা ফিরে যাওয়ার সময় ১০ কেজি ও ২০ কেজি করে কমলা কিনে নিয়ে বাড়ি যান। তিনি জানান, এ বছর এরই মধ্যে ৩০ মণ কমলা বিক্রি করেছেন।
আরো ৭০ মন কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তার কমলা বাগান দেখে এরই মধ্যে অনেকেই কমলার বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতিদিনই কেউ না কেউ তার কাছ থেকে কমলার চাষ কিভাবে করতে হবে সে বিষয়ে পরার্মশ নিচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা করে তিনি নিজ বাগানের মাতৃগাছ থেকে বাগানের বিভিন্ন সারির ফাকে ফাকে সারিবদ্ধভাবে কয়েক হাজার কমলার চারা তৈরী করেছেন। এই চারা ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করেন। এরই মধ্যে তার বাগানের চারায় দিনাজপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকটি কমলা বাগান গড়ে উঠেছেন।
তিনি জানান, কেউ নতুন করে কমলা বাগান করতে চাইলে তিনি তাদেরকে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেবেন। দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান মিয়া জানান, তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কাহারোল উপজেলার প্রভাষক সেলিম রেজার কমলা বাগান পরিদর্শন করেছেন।
তাকে তার বাগান আরো সফল করতে বেশ কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তিনি স্থানীয় উপজেলা কৃষি বিভাগে ফল নিয়ে কাজ করে এ ধরনের কৃষি কর্মকর্তার ফয়জুল ইসলাম সাথে পরামর্শ করে বাগানের সৃজন কাজে সহায়তা নিয়েছেন।
বাসস
পিকে/এসপি
তিনি দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার সরনজা গ্রামের বাসিন্দা ও সদর উপজেলার চাঁদগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। তার নিজস্ব এক একর জমিতে গত ২০২০ সালের জুন মাসে চায়না ও পাকিস্তানী জাতের দু‘শ কমলা ও দু‘শ মাল্টার চারা রোপন করেন।
সেলিম রেজা জানান- গত ২০২২ এপ্রিলে তার বাগানে প্রথম ফলন আসতে শুরু করে। প্রথম বছরেই তিনি ৩৫ মণ কমলা ও ৫০ মণ মাল্টা বিক্রি করেন। তারপর দ্বিতীয় বছর ২০২৩ সালে তার বাগানের সবগুলো গাছেই ফল আসে। এবারে তার মাল্টা গাছ থেকে ১২০ মণ ফল পেয়েছেন।
এসব মাল্টা বাগান থেকে ক্রেতারা ক্রয় করে নিয়ে গেছেন। আর কমলা গাছ থেকে তিনি ১০০ মণ কমলা পাওয়ার আশা করছেন। এরই মধ্যে তিনি ৩০ মন কমলা বিক্রি সম্পন্ন করেছেন। আরো ৭০ মন কমলা পাবেন বলে আশা করছেন। তিনি জানান, গত ২০২০ সালে চুয়াডাঙ্গা থেকে তিনি ২০০ কমলা ও ২০০ মাল্টার চারা কিনে এক একর জমিতে রোপণ করেন।
সরেজমিনে বাগান ঘুরে দেখা যায়, কমলা বাগানে সারিবদ্ধভাবে লাগানো ৭/৮ ফিট উচ্চতার বিভিন্ন গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে রঙিন কমলা। একই উচ্চতার কয়েকটি গাছে মাল্টা রয়েছে। তিনি জানান, তার বাগানের কমলা ও মাল্টা খুবই রসালো, মিষ্টি ও সুস্বাদু।
প্রতিদিনই দিনাজপুর জেলা শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন তার বাগান দেখতে আসেন। দর্শনাথীরা ফিরে যাওয়ার সময় ১০ কেজি ও ২০ কেজি করে কমলা কিনে নিয়ে বাড়ি যান। তিনি জানান, এ বছর এরই মধ্যে ৩০ মণ কমলা বিক্রি করেছেন।
আরো ৭০ মন কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তার কমলা বাগান দেখে এরই মধ্যে অনেকেই কমলার বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতিদিনই কেউ না কেউ তার কাছ থেকে কমলার চাষ কিভাবে করতে হবে সে বিষয়ে পরার্মশ নিচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা করে তিনি নিজ বাগানের মাতৃগাছ থেকে বাগানের বিভিন্ন সারির ফাকে ফাকে সারিবদ্ধভাবে কয়েক হাজার কমলার চারা তৈরী করেছেন। এই চারা ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করেন। এরই মধ্যে তার বাগানের চারায় দিনাজপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকটি কমলা বাগান গড়ে উঠেছেন।
তিনি জানান, কেউ নতুন করে কমলা বাগান করতে চাইলে তিনি তাদেরকে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেবেন। দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান মিয়া জানান, তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কাহারোল উপজেলার প্রভাষক সেলিম রেজার কমলা বাগান পরিদর্শন করেছেন।
তাকে তার বাগান আরো সফল করতে বেশ কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তিনি স্থানীয় উপজেলা কৃষি বিভাগে ফল নিয়ে কাজ করে এ ধরনের কৃষি কর্মকর্তার ফয়জুল ইসলাম সাথে পরামর্শ করে বাগানের সৃজন কাজে সহায়তা নিয়েছেন।
বাসস
পিকে/এসপি