মোঃ আবদুল আলীম খান: ঢাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া ৮ বছরের শিশু বাচ্চা মতিউর রহমানকে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের শশীদল রেলষ্টেশন থেকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ তার মা-বাবার কাছে তুলে দিয়েছেন।
হারিয়ে যাওয়া মতিউরকে পেয়ে তার বাবা মায়ের মনে খুশির বন্যা বইছে। থানা পুলিশ ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভোলা জেলার লালমোহন থানার জোবায়ের হোসেন আকবর ও বিবি ফাতেমার ৮ বছরের শিশু বাচ্চা মতিউর রহমানসহ স্বপরিবার গত ২০০৮ সালে ঢাকায় জীবিকার উদ্দ্যেশে পাড়ি জমায়।
সেখানে জোবায়ের হোসেন আকবর ড্রাইভারের চাকুরি নেন। সেই সুবাধে তার শিশু বাচ্চা মতিউর রহমানকে লেখাপড়া শিখানোর জন্য খিঁলগাও একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করায়। গত পবিত্র রমজান মাসে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় গত ১২-৪-২৩ ইং মতিউর রহমান তার মা বাবাকে পার্শ্ববর্তী তার নিজ মামার বাসায় যাবেন বলে বাসা থেকে বের হয়।
কিন্তু খবর নিয়ে জানতে পারে মতিউর রহমান মামার বাসায় যায় নাই। অনেক খোজাঁখুজি করার পর মতিউর রহমানকে না পেয়ে তার বাবা মা খিঁলগাও থানায় একটি নিঁখোজ ডায়েরী করে। যার ডায়েরী নং-১১৯৪।
গত সোমবার দুপুর ৩টায় মতিউর রহমান কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল রেলষ্টেশনে একা একা বসে থাকতে দেখে সেখানের স্থানীয় দুইজন ব্যক্তি তার নাম ঠিকানা ও পরিচয় চানতে চায়। কিন্তু মতিউর রহমান তাদের কিছুই বলে না।
পরবর্তীতে মতিউর রহমানকে দুইজন ব্যক্তি ব্রাহ্মণপাড়া থানায় নিয়ে এসে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল এর নিকট বিস্তারিত বলেন। পরে (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল মতিউর রহমানকে তার কাছে নিয়ে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ ও বিভিন্ন উপহার দিয়ে তার বাবা মা, মোবাইল নাম্বার, ঠিকানা জানতে পেরে তার বাবা ও মাকে খবর দিয়ে থানায় নিয়ে আসেন।
মঙ্গলবার সকালে মতিউর রহমানের বাবা মা থানায় এসে প্রকৃত পরিচয় দিয়ে তাদের শিশু সন্তান মতিউর রহমানকে নিয়ে যায়। বর্তমানে মতিউর রহমান সুস্থ আছেন। এদিকে মতিউর রহমানকে পেয়ে তার বাবা মা খুশিতে আত্নহারা ও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সে সময় এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরী হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, এরকম একটি ঘটনা সত্যিই আবেগঘন পরিবেশ তৈরী করে। শিশু বাচ্চা মতিউর রহমানের সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করে তার ঠিকানা জাতে পেরে তার বাবা মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মতিউর রহমান সুস্থ আছেন। এরকম একটি ঘটনার স্বাক্ষী হতে পেরে ভালোই লাগছে।
পিকে/এসপি