মোঃ আবু তালে: নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৈমারী দাখিল মাদ্রাসার মৌ:মো: মনসুর আলী (জুনিয়র মৌলভী ইবতেদায়ী) ও ক্বারি:মো:খলিলুর রহমান (জুনিয়র শিক্ষক, ইবতেদায়ী) এর অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৬ ই মার্চ) সকাল ১১ টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মোঃরিফাতুল ইসলাম বনিক এর উপস্থাপনায় ও কৈমারী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও:হাফেজ মো:আব্দুস সবুর এর সভাপতিত্বে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব চঞ্চল কুমার ভৌমিক(উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার,জলঢাকা,নীলফামারী)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম (আহবায়ক, বাংলাদেশ যুবলীগ, কৈমারী ইউনিয়ন শাখা) মোঃরেজাউল করিম (দাওয়া ও তাবলীগ বিষয়ক সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস)।আরো উপস্থিত ছিলেন, অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষিকা ও কমিটি বৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষিত সমাজ বিনির্মাণে কৈমারী দাখিল মাদ্রাসার এই দুজন শিক্ষকের বিভিন্ন অবদান তুলে ধরেন এবং তাদের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন। এছাড়াও তারা বলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী সর্বদা এই শিক্ষকের অবদান মনে রাখবে। পরে দেশ, জাতি ও এই দুজন শিক্ষাগুরুর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, কৈমারীতে আলোর দিশারী হয়ে এক সময়ের প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকায় অবস্থিত কৈমারী দাখিল মাদ্রাসায় যোগদান করেন এই দুজন শিক্ষাগুরু।দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে কৈমারীর সাধারণ শিক্ষার্থীদের আলোর মুখ দেখাতে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে গেছেন তারা। ২০২৩ সালের ৬ই মার্চ থেকে অবসরে যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত তারা কৈমারী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, যে দুজন শিক্ষক আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিচ্ছেন,তারা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিচ্ছেন কিন্তু মন থেকে নয়। তারা দুজন সুনামের সহিত দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। পরিবেশ পরিস্থিতি যখন যেমন হয়েছিল, তখন তা মানিয়ে নিয়েই সৎ ও নিষ্ঠার সাথে শিক্ষকতা করেছেন।
আমি সবসময় চাই এ মাদ্রাসার উন্নতি। আমরা চাই ভালো রেজাল্ট।আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এ প্রতিষ্ঠান। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। প্রতিষ্ঠানকে মনেপ্রানে ভালোবাসতে হবে।মন দিয়ে পড়াশুনা করে ভাল মানুষ হতে হবে।সমাজকে আলোকিত করতে আলোকিত মানুষ হতে হবে।শিক্ষকদের কে মন থেকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে হবে।’
পিকে/এসপি