গত ৬ ফেব্রুয়ারি আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়ছে তুরস্ক। স্বাভাবিক কারণেই দেশটির আগামী নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে তর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান তার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তুরস্কে আগামী ১৪ মে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনী প্রস্তুতির মধ্যেই গত ৬ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প। বিগত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী এই ভূমিকম্পের কারণে দেশটিতে সময়মতো নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বিরোধীরা দাবি করেছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ মে নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে সংবিধান অনুযায়ী ১৮ জুন করতে হবে নির্বাচন। প্রসঙ্গত, নিয়ম অনুযায়ী দেশটির নির্বাচন হওয়ার কথা ১৮ জুন। তবে এ বছর বেশ কিছু কারণে নির্বাচনের দিন মাস খানেক এগিয়ে আনা হয়েছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে নির্বাচন ইস্যুতে কথা বলেননি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তবে বুধবার ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (এ কে পার্টি) সিনিয়র সদস্যরা দীর্ঘ ৭ ঘণ্টার বৈঠক করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগানের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে দলের নেতারা পূর্ব ঘোষিত তারিখ অর্থাৎ আগামী ১৪ মে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে একমত হয়েছেন। এ কে পার্টির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১১টি প্রদেশ বিধ্বস্ত এবং ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেলেও পূর্বে ঘোষিত নির্বাচনী সময়সূচি মেনে চলার পরিকল্পনা করছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ওই ভূমিকম্প। এতে তুরস্কের ১১টি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে ৮৪ হাজারের বেশি ভবন। সবমিলিয়ে ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
পিকে/এসপি