বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে। প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় কিছু মুহূর্ত কাটাতে সৈকতে ভিড় করেছেন অনেকে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে কক্সবাজার সৈকতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। বিশেষ দিবসগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, একদিকে বসন্তের আমেজ, অন্যদিকে শীতের বিদায়, ফাল্গুনের সূচনা। তাই অগণিত পর্যটক দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন সৈকতের শহর কক্সবাজারে। সকাল থেকে সৈকতের ছয়টি পয়েন্ট পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। শুধু সৈকত নয়, চার শতাধিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। পর্যটকদের সরব উপস্থিতিতে সৈকত শহর যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
কক্সবাজারে বেড়াতে আসা আরিস ও সাগর দম্পতি বলেন, আজকের বিশেষ দিনে সময় কাটাতে সাগর পাড়ে চলে আসলাম। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। আর আমাদের সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গেও যেন চলছে ভালোবাসার মিতালি।
গাজীপুর থেকে আগত পর্যটক জিকু ও আসমা বলেন, আজ এই ভালোবাসা দিবসে আমাদের বিয়ে হয়েছিল। তাই এই দিনে সময় কাটাতে কক্সবাজারে আসা। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে।
এদিকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে কক্সবাজারের প্রায় চার শ হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে পড়েছে বাড়তি চাপ। সব হোটেলেই ৮০ ভাগেরও বেশি রুম আগে থেকেই বুকিং হয়ে গেছে। আবার কোনো কোনো হোটেলে বিশেষ এই দিন উপলক্ষে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ পর্যটকদের জন্য রাখা হয়েছে নানা আয়োজন।
সৈকতের লাবণী পয়েন্টের হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের জেনারেল ম্যানেজার রাকিব হাসান বলেন, এই দিনে পর্যটকদের জন্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বাড়তি সেবা নিশ্চিত করার বিষয়টিও আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের ইন্সপেক্টর গাজী মিজান বলেন, ভালোবাসা দিবসে পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে। পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে । প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সব সময় তৎপর।
এমএফডি/প্রিন্স