বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বলেন, ১৫ বছরের হত্যাকান্ড, নির্যাতন নিপিড়নের পরে এ দেশের মানুষ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। আবুসাঈদ এবং আমাদের এখানকার রিফাত, বাবু, মাহিম, সুলতানসহ হাজার হাজার ভাই ও বোনেরা তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে এই গণঅভ্যুত্থান সফল করেছে।
তিনি বলেন, আপনাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই। সেদিন ৫ আগস্ট টেলিভিশনের ব্রেকিং নিউজ আসলো, খুনি হাসিনা তার দলবল নিয়ে পালাইছে। তখন সারা বাংলাদেশে একটি স্লোগান ভরে গেছিলো। পালাইছেরে পালাইছে, শেখ হাসিনা পালাইছে। খুনি হাসিনা ১ বছর ভারতে পালিয়ে আছে। তার সাঙ্গপাঙ্গ, পেতাত্তারাও পলাতক।
তিনি আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট ২০২৫) বিকালে ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ সরকার মুক্তির একবছর পূর্তি উপলক্ষে দাউদকান্দি উপজেলা ও পৌরবিএনপির উদ্যোগে গণ মিছিলি শেষে শহীদ রিফাত পার্কে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শোনতে পেড়েছি আজ সারে ৮টার সময় আমাদের বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আগামী সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন। আমরা শোনেছি ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সময় বেশি নাই, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। নির্বাচনের মাঠে বৃষ্টির মধ্যে আমরা যে গণজোয়ার দেখতে পেলাম।
এই গণজোয়ার যদি থাকে বিএনপিকে দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে কোন অপশক্তি বাধা দিয়ে রাখতে পারবে না।আমাদের নেতা তারেক রহমানকে এদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। আমাদের নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে দেশের সর্বউচ্চ পর্যায়ে দেখতে চাই। এই বৃষ্টির মধ্যে আপনারা কষ্ট করে এসেছেন। তার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ লতিফ ভূঁইয়া,পৌর বিএনপি'র আহবায়ক নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকার, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক জসিম উদ্দিন আহমেদ,
যুগ্মআহ্বায়ক এম এ সাত্তার, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক শওগাত চৌধুরী পিটার, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব কাউসার আলম সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার বিল্লাল হোসেন সুমন, সালাউদ্দিন সরকার প্রমূখ।
পিকে/এসপি
আমাদের নেতা তারেক রহমানকে এদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই: খন্দকার মারুফ
- আপলোড সময় : ০৫-০৮-২০২৫ ০৯:৪৮:১৮ অপরাহ্ন
