শাহবাজ খান মাশফি, ঢাকা: আজ দেশের প্রতিটা সেক্টরে নারীদের অবস্থান চোখে পড়ার মত বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। তাদের মতে, দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিতে সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ অনস্বীকার্য। বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে 'অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণ' শীর্ষক এক আলোচনা সভা, উইমেন পাওয়ার লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ প্রদান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
স্মার্ট উদ্যোক্তা ফোরাম ও বাংলার বীর ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। তারা পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। নারীর এই অগ্রযাত্রা যেন কোন ভাবেই ব্যাহত না হয় সেদিকে বিবেকবান প্রতিটি নাগরিকের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
এসময় বক্তারা বর্তমান সরকারের নারী, দেশ ও সমাজ উন্নয়নমূলক প্রতিটি কাজে সহযোগিতা করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি, সন্ধ্যায় রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে স্মার্ট উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি কামার আফজা লিজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ডঃ আনিসুজ্জামান।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীরজাদা শহিদুল হারুন। স্মার্ট উদ্যোক্তা ফোরাম ও বাংলার বীর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন প্রফেসর অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নাবিহা এক্সপ্রেসের চেয়ারম্যান সেলিনা চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক মাসুদ আল শামসুদ্দোহা, বাংলার বীর ফাউন্ডেশনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডাক্তার রাজিউন সালমা লাবনী, দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মাকসুদেল হোসেন খান মাকসুদ।
এ বছর একটি বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সারাদেশ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা ৪৫ জন উদ্যোক্তা নারীকে মনোনীত করা হয়। মনোনীত এই ৪৫ নারীর হাতে তুলে দেয়া হয় সম্মাননা সনদ, 'উইমেন পাওয়ার লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড- ২০২৫' এবং পরিয়ে দেওয়া হয় উত্তরি।
এ বছরই প্রথম ব্যতিক্রমী একটি উদ্যোগের মাধ্যমে ৫ জন পুরুষকে দেয়া হয় বিশেষ সম্মাননা পদক ও উত্তরি। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের পরিবেশনে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পিকে/এসপি